
গাজীপুর মহানগরের হায়দ্রাবাদ এলাকায় ঘোড়ার মাংস বিক্রির বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. নারগিস খানম।
গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া এই অভিযান চালান। অভিযানে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হায়দ্রাবাদ এলাকার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম ও নুরুল্লাহ মামুন কয়েক বছর আগে দুবাই ভ্রমণের সময় সেখানকার হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হতে দেখেন। এরপর দেশে ফিরে তারা পরীক্ষামূলকভাবে একটি ঘোড়া জবাই করে পরিবারের মধ্যে ভাগ করে নেন। পরে, চলতি বছরের শুরুর দিকে তারা বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়া জবাই করে মাংস বিক্রি শুরু করেন।
প্রথমে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হলেও চাহিদা বাড়ায় পরে ৩০০ টাকা কেজি করা হয়। ঘোরার মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গরুতে চর্বি আছে, ঘোড়ার মাংসে কোনো চর্বি নেই।
গাজীপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে এবং কোনো সনদ ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয়। এক বছরের জেলও হতে পারে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনস্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এ বিষয়ে নিয়মিত মনিটরিং করা হবে।