
দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী সংগঠনকে সহায়তাসহ একাধিক অভিযোগে বুধবার প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইস্তাম্বুলের মেয়র ইকরাম ইমামোগলুকে আটক করেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষ। বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির (সিএইচপি) ইমামোগলুর বিরুদ্ধে দুটি তদন্ত চলছে। তার বিরুদ্ধে ঘুস গ্রহণ, টেন্ডার জালিয়াতি এবং অপরাধমূলক সংগঠনের নেতৃত্ব দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
বিরোধী দল সিএইচপি আর কয়েকদিনের মধ্যেই দুই দশকের বেশি সময় ধরে তুরস্ক শাসন করে আসা এরদোয়ানের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ইমামোগলুর নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছিল।
দুই দফা ইস্তাম্বুলের মেয়র পদে থাকা ইমামোগলুর জনপ্রিয়তা ভবিষ্যতের যে কোনো নির্বাচনে তার ভালো ফলের আভাস দিচ্ছিল। এ কারণেই তাকে আটক করা হতে পারে বলে অভিযোগ সমালোচকদের।
পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এ রাজনীতিক বলেছেন, তিনি হাল তো ছাড়ছেনই না, বরং চাপের মুখে অটল থাকবেন। তার বিরুদ্ধে চলা প্রথম তদন্ত নিয়ে দেওয়া এক বিবৃতিতে ইস্তাম্বুলের কৌঁসুলির কার্যালয় বলেছে, পৌরসভার দেওয়া কিছু টেন্ডারের সঙ্গে সম্পর্কিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সাংবাদিক ও ব্যবসায়ীসহ মোট ১০০ জন জড়িত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
ইমামোগলুসহ সাতজন কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টিকে (পিকেকে) সহায়তা করেছেন, এমন অভিযোগের ভিত্তিতে দ্বিতীয় তদন্ত চলছে, বলেছে তারা। তুরস্ক এবং এর পশ্চিমা মিত্ররা পিকেকে-কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে দেখে।
এসব অভিযোগের কারণে আগামী নির্বাচনে তার অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্ত হতে পারে। দেশটিতে ২০২৮ সালে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে এরদোয়ান চাইলে আগাম নির্বাচনের ডাক দিতে পারেন। এদিকে ইস্তাম্বুলে আগামী চারদিন সব ধরনের বৈঠক এবং বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছে গভর্নরের কার্যালয়।