আগামীকাল চার দিনের সফরে চীন যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার এই সফরকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন মহলে নানা রকম আলোচনার পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন ধরনের তৎপরতা।
গতকাল মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চীন সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন পররাষ্ট্র সচিব এম জসীম উদ্দিন।
পররাষ্ট্র সচিব জানান, এ সফরে প্রধান উপদেষ্টা বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন। তিনি বলেন, ‘চীনের গ্রেট হলে প্রধান উপদেষ্টা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিংয়ের নেতৃত্বে দুই দেশের প্রতিনিধিদলের মধ্যে একটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে। বৈঠকে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কৌশলগত বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ইস্যু, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধি, কৃষি, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তা এবং রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানসহ দুই দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট সার্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।’
সচিব এম জসীম উদ্দিন জানান, গুরুত্বপূর্ণ এ সফরে কয়েকটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পানি সম্পর্ক উন্নয়নে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়াবিষয়ক সহায়তা ও গণমাধ্যমবিষয়ক সহযোগিতা। এ ছাড়া বৈঠক শেষে অর্থনৈতিক বিনিয়োগ, অর্থনৈতিক অঞ্চল ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ক ঘোষণা আসতে পারে।
সামরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘আমাদের দিক থেকে চীনের সঙ্গে যে সামরিক সহযোগিতা আছে, সেগুলোর একটি সাধারণ আলোচনা হবে।’
পররাষ্ট্র সচিব জানান, বৈঠক শেষে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ আকর্ষণের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিয়ে চীনা বিনিয়োগকারীদের অবহিত করতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধান উপদেষ্টা। তাঁর এই সফর বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা যায়।
চীন সফর শেষে দেশে ফিরে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে আগামী ৩ এপ্রিল থাইল্যান্ড যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক আব্দুল মোতালেব সরকার, মোহাম্মদ নূরে আলম ও মোহাম্মদ রফিকুল আলম।



