বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, গতকাল প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য রেখেছেন, আমরা হতাশ হয়েছি, সেখানে একবারের জন্য স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমের নাম উচ্চারণ করা হয় নাই।
বুধবার সকাল ৯টায় মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে জিয়া উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি একথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁরা হতাশ হয়েছেন যে তাঁর বক্তব্যে তিনি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) নাম একবারও উচ্চারণ করেননি। অথচ এটাই ইতিহাস। তাঁরা আবার চান না, আওয়ামী লীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে, এখন আবার সেই ইতিহাস বিকৃত হোক। প্রকৃত সত্যকে উদ্ঘাটিত করে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা—একটি গণতান্ত্রিক সরকার, সেই গণতান্ত্রিক সরকারে যত দ্রুত ফিরে যাওয়া যাবে, সমস্যাগুলো ততই সমাধান হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেন, এটা (এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে) অত্যন্ত অস্পষ্ট কথা। ডিসেম্বর থেকে জুন…ছয় মাস। সুতরাং, এটা কোনো রোডম্যাপ (পথনকশা) দেওয়া হয়নি। তাঁরা বারবার স্পষ্ট রোডম্যাপ ও দ্রুত নির্বাচনের কথা বলে আসছেন। তা না হলে যে সংকটগুলো সৃষ্টি হচ্ছে, এগুলো কাটবে না।
মির্জা ফখরুল বলেন, তাঁর দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচনের কথা বলছে না। বিএনপি জাতির স্বার্থে, জাতিকে রক্ষা করার স্বার্থে, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার স্বার্থেই নির্বাচনের কথা বলছে, নির্বাচিত সংসদ ও সরকারের কথা বলছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আরো বলেন, আমরা চাইনা আওয়ামীলীগ যে ইতিহাস বিকৃত করেছে এখন আবার ইতিহাস বিকৃত হোক। আমরা বারবার বলে আসছি স্পষ্ট রোডম্যাপ এবং দ্রুত নির্বাচন না হলে এই সংকট কাটবে না। গত ১৫ বছর সারাদেশের মানুষ গুম খুন হত্যা নির্যাতনের শিকার হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা সেই কালো সময় থেকে মুক্তি পেয়েছে। আমরা আশা করি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুব দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কারের শেষে জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে।