
নিয়মিত খাবার গ্রহণ জীবনযাপনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াগুলোর একটি। একই সঙ্গে এটি শক্তির প্রধান উৎসও। তবে সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ না করলে যেমন শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে, তেমনি ভুল সময়ে ভুল খাবার খেয়েও ডেকে আনতে পারেন বিপদ। এ জন্য বরাবরই খাবার গ্রহণের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নিন-
কলা
নাশতায় হরহামেশাই রুটির সঙ্গে কথা খেয়ে থাকেন অনেকে। বলা হয়, দ্রুত শক্তি যোগাতে কলার জুড়ি নেই। আর এ শক্তির যোগান দেয় পাকা কলায় থাকা একধরনের অদ্রবণীয় আঁশ। শিশুদের জন্যও পাকা কলা বেশ উপকারী। এতে ১০৫-১১০ ক্যালরি, ১ গ্রাম প্রোটিন, ২৮ গ্রাম কর্বোহাইড্রেট, ১৫ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি আর ৪৫০ গ্রাম পটাশিয়াম থাকে।
তরমুজ
মৌসুমি ফল তরমুজ খেতে ভালোবাসেন না- এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। শরীরে পানিশূন্যতা দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার। পাশাপাশি তরমুজে থাকা অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট ত্বকের জন্যও বেশ উপকারী। মাঝারি আকারের একটি তরমুজে ৪০-৬০ ক্যালরি পাওয়া যায়। মৌসুমী এ ফলটি দিনে বা রাতের যেকোনো সময়ে খেতে বাধা নেই।
দুধ
শিশুদের ক্ষেত্রে সকালের নাশতায় এক গ্লাস দুধ খুবই উপকারী। বড়দের বেলায় তরল এ খাবার গ্রহণের উত্তম সময় রাতে ঘুমানোর আগে। তবে যাদের ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স আছে বা দুধ খেলেই পেটের পীড়া শুরু হয়, তাদের জন্য দুধ ও এ থেকে তৈরি সব ধরনের খাবার এড়িয়ে চলাই উত্তম।
পাকা বা কাঁচা পেঁপে
ক্যালরি ও ফাইবারসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর পেঁপে কিন্তু পেট ঠান্ডা রাখার ক্ষেত্রে অতুলনীয়। এতে রয়েছে ১২০ ক্যালরি, ৩০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫ গ্রাম ফাইবার বা আঁশ এবং ১৮ গ্রাম প্রাকৃতিক চিনি। চিরচেনা এই ফলটি অবশ্য দিনের যেকোনো সময়ে খেতে পারেন। অ্যাসিডিটি দূর করা ছাড়াও কোষ্ঠকাঠিন্য তাড়াতে বেশ সুনাম আছে পেঁপের।
লিচু
পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-সি, ক্যালসিয়ামসহ নানা পুষ্টিগুণে ভরপুর লিচু কিন্তু কোনোভাবেই খালি পেটে খাওয়া যাবে না। এমনকি রাতে ঘুমানোর আগেও মৌসুমী ফলটি খাওয়া যাবে না। তবে দিনের যেকোনো সময় হালকা খাবারের পর খেতে বাধা নেই। এ ক্ষেত্রে লিচু পরিমাণে কম খাওয়া উত্তম, নয়তো পেটব্যথা ও পরবর্তী সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আম
মৌসুমি ফল আম খেলে ঘুম ভালো হয়, এ কথা জানা নেই এমন মানুষ খুব কমই আছে। এতে ক্যালরির পরিমাণ ১৯০-২২০। অ্যাসিডিটির সমস্যা না থাকলে দিন কিংবা রাতের যেকোনো সময়ে খেতে পারেন আম।