
বাজারে আল হারমাইন, কস্তুরি, মুস্তাহ আল তাহারা, আল আরাবিয়া, গুপি, সুলতান, কিং হোয়াইট, জান্নাতুল নাঈম, আল-ফারেজ ও হাজরে আসওয়াদের মতো দামি আতর যেমন রয়েছে, তেমনি আলিফ, আল ফারহান, আল ইসরাত, আল রিসাব, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল, সুরভি ও বেলি ফুলের তুলনামূলক কম দামের আতরও মিলছে।
অবশ্য বর্তমানে হালকা ঘ্রাণযুক্ত পারফিউম ধরনের আতরের চাহিদা বাড়ছে। কারণ, অনেকেই তীব্র ঘ্রাণ সহ্য করতে পারেন না।
ঈদের দিন সকালে নতুন পাঞ্জাবি-পায়জামা পরে কয়েক ফোঁটা আতর দিতে পছন্দ করেন অনেকে। সে জন্য ঈদের কেনাকাটার তালিকায় থাকে আতর। আবার ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়েও আতর উপহার দেওয়ার প্রবণতা আজকাল বাড়ছে। সব মিলিয়ে পবিত্র রমজান মাসে আতরের ব্যবসা জমে ওঠে।
দেশি আতরের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, এমনকি ভারত ও পাকিস্তানের আতর বিক্রি হচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে ৩ মিলির ছোট বোতলে ভরে আতর বিক্রি হচ্ছে। প্রতি মিলির দাম ২০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা। সবচেয়ে দামি আতর কস্তুরির প্রতি তোলার (১২ মিলিলিটার) দাম ২০ হাজার টাকা।
বায়তুল মোকাররম মার্কেটের খুশবু কালেকশনের আসাদুল ইসলাম বললেন, সবাই কম দামে ভালো জিনিস চান। ফলে প্রতি মিলি ২০-৩০ টাকা থেকে শুরু করে ৮০-১০০ টাকার আতরই বেশি বিক্রি হয়। করপোরেট প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা তাঁদের গ্রাহকদের উপহার দিতে আতর কিনতে আসেন। যদিও ঈদের বেচাবিক্রি এখনো জমেনি।
আতর ব্যবসায়ী মাসুদুল ইসলাম বলেন, সাধারণত ১৫ রোজার পর আতরের বেচাবিক্রি জমে।