Top Newsসংবাদ সারাদেশ

বিশ্ব জনমত ক্রমশই গাজা’র শিশুর কান্নার পক্ষে

মোহনা অনলাইন

ইসরাইলী নাগরিক এবং বিখ্যাত স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা ড্যানিয়েল-রায়ান স্পাউডিংয় মনে করেন,বর্ত বিশ্ববাসীর ধারনা সেলিব্রিটিরা যদি ইসরায়েলকে সমর্থন করে তা হচ্ছে “অতিরিক্ত রাজনৈতিক”। কিন্তু সেলিব্রিটিরা যখন ফিলিস্তিনিদের স্বার্থ সমর্থন করে এবং ইহুদি রাষ্ট্রের নিন্দা করে তখন তা হচ্ছে স্বাভাবিক এবং গ্রহণযোগ্য। ফক্স নিউজের সাথে এক সাক্ষাৎকারে,এ কথা বলেন। স্পাউডিং –এর এই কথা থেকে স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বিশ্ব জনমত !

ফিলিস্তিনের সশস্ত্র বাহিনী হামাস ইসরাইলী নাগরিকদের জিম্মি করলে পশ্চিমা বিশ্বের জনগণের জিম্মিদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিল। কিন্তু এর বিপরীতে ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা তারা মেনে নিতে পারছে না। বিশ্ব জনমত দিনদিন ইসরায়েলের বিরুদ্ধে চলে যাচ্ছে। আমেরিকা এবং ইউরোপের বিভিন্ন সংগঠন, ক্লাব এবং বারের আড্ডার আলোচনায় ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলা সমালোচিত হচ্ছে। এই অসম এবং একতরফা যুদ্ধ কারো কাছেই আর গ্রহণযোগ্য নয়। বিশেষ করে নারী ও শিশু হত্যা কেউ মেনে নিতে পারছে না। এছাড়া হাসপাতাল এবং বেসামরিক হাসপাতালে ইসরাইলী বাহিনীর ক্রমাগত বোমা হামলা বিশ্ববাসী বরদাশত করছে না। এবং যুদ্ধের অবসান চাইছে। আর যুদ্ধ নয়।

এদিকে আন্তর্জাতিকভাবে-ও ইসরায়েলের গাজা যুদ্ধ সংক্রান্ত সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে সমালোচনা বেড়েই চলেছে। ফ্রান্সসহ কয়েকটি দেশ ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। যা কূটনৈতিক সম্পর্কে বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। একই সঙ্গে, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে—যুদ্ধাপরাধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের আশঙ্কা তুলে ধরে।

ইসরায়েলের বিরোধী দল ও নেতৃবৃন্দ গাজা যুদ্ধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর কৌশলের বিরুদ্ধে ক্রমবর্ধমান সমালোচনা প্রকাশ করেছে। যদিও তাদের কাছে জিম্মিদের মুক্তিই হচ্ছে, সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। পাশাপাশি একথাও তার বলছে, সমোঝোতার মধ্য দিয়ে সমস্যা সমাধান করাই সমুচিত। ইসরায়লের বিরোধী দলের নেতা ইয়াইর লাপিদ বলেছেন, সংঘাত নয় সমোঝোতার মাধ্যমে জিম্মি সংকট নিশ্চিত করতে হবে। তা না আগামীতে ইসরায়েল-কে চরম মাশুল দিতে হতে পারে।

আর গাজায় শিশু মৃত্যু দেখতে চায় না। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক রাষ্ট্র, সরকারিভাবে ইসরায়েলকে সমর্থন করছে। কিন্তু সেই সকল দেশে জনগণের একটা বড় অংশ ইসরায়েলের এই বর্বরোচিত হামলা’র প্রতি সমর্থন নেই। বরঞ্চ তারা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে এই হামলার ঘৃণা প্রকাশ করছে। যার ফলে ইউরোপের অনেক রাষ্ট্র ইসরায়লে ব্যাপারে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেয়ার চিন্তা ভাবনা করছে।

চার্চিলের নাতি এবং যুক্তরাজ্যের লর্ড সভার সদস্য লর্ড নিকোলাস। সম্প্রতি তিনি বলেনছেন, বেলফোর ঘোষণায় বর্ণিত ফিলিস্তিনে আরবীয় সম্প্রদায়ের অধিকার সমুন্নত রাখা হয়নি। এটা স্পষ্ট বিষয়। এটা একটি ঐতিহাসিক অবিচার। এই অবিচারের দায় দায়িত্ব ব্রিটেনের ওপর এসে পড়বে। তিনি আরও বলেন,আমরা ফিলিস্তিনিদের একই অধিকার অস্বীকার করে ইউক্রেনের জনগণের জন্য আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদা রক্ষা করতে পারি না।যুক্তরাজ্যকে দ্বিমুখী নয়। সমান অবস্থান বজায় রাখতে হবে। বর্তমানে ইজরাইল, আমেরিকা এবং পশ্চিম ইউরোপের কয়েকটা দেশ ছারা গোটা বিশ্ব এই ধারণা পোষণ করে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
bn Bengali en English