
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি ফারুক আহমেদের দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে নানা বিষয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি। পরিচালকদের সঙ্গে দূরত্ব, বিপিএলে পেশাদারিত্বের অভাব, টিকিট বিতরণ নিয়ে দর্শকদের ক্ষোভ ও দলের বাজে পারফরম্যান্সের পাশাপাশি এবার তার বিরুদ্ধে আর্থিক লেনদেনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সম্প্রতি গুঞ্জন ওঠে, বিসিবির ফিক্সড ডিপোজিট থেকে ১২০ কোটি টাকা সরিয়েছেন ফারুক আহমেদ, যা নাকি বোর্ড পরিচালকদের সঙ্গে আলোচনা না করেই করা হয়েছে। তবে এসব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে বিসিবি।
গতকাল এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বিসিবি জানায়, ‘জাতীয় গণমাধ্যমের একটি অংশে বোর্ডের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত প্রকাশিত কিছু প্রতিবেদন বিসিবির নজরে এসেছে। এসব প্রতিবেদন ভুল তথ্যভিত্তিক এবং বোর্ড ও সভাপতি ফারুক আহমেদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে বিসিবি ব্যাখ্যা দেয়, ফারুক আহমেদ দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের অর্থনৈতিক সংকট ও আগের আর্থিক অনিয়মের প্রেক্ষাপটে বোর্ডের আর্থিক স্বার্থ সংরক্ষণের উদ্যোগ নেন। এ কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যাংক থেকে ২৫০ কোটি টাকা উত্তোলন করে ২৩৮ কোটি টাকা নিরাপদ (গ্রীন ও ইয়েলো জোন) ব্যাংকে পুনঃবিনিয়োগ করা হয়। বাকি ১২ কোটি টাকা বিসিবির পরিচালনা ব্যয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
বিসিবি আরও জানায়, বোর্ডের ব্যাংকিং লেনদেনের সিদ্ধান্ত এককভাবে সভাপতি নেন না। লেনদেনে অনুমোদন দেন ফিনান্স কমিটির চেয়ারম্যান ফাহিম সিনহা ও টেন্ডার ও পারচেজ কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল আনাম। সভাপতি আর্থিক বিষয়ে স্বাক্ষরদাতা নন।
বিবৃতিতে বিসিবি দাবি করে, কিছু সুবিধাভোগী ও ষড়যন্ত্রকারী গোষ্ঠী বোর্ডের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে সক্রিয় রয়েছে। তবে আর্থিক নিরাপত্তা বাড়াতে বর্তমানে ১৩টি নির্ভরযোগ্য ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করা হচ্ছে। এতে আয় ২-৫ শতাংশ বেড়েছে বলেও জানিয়েছে বিসিবি।
এছাড়া, গত ছয় মাসে তিনটি ব্যাংকিং অংশীদারের কাছ থেকে ১২ কোটি টাকার স্পনসরশিপ এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ২০ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে বোর্ড।
বিসিবি জানায়, তারা সর্বোচ্চ মানের আর্থিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং তথ্যভিত্তিক তদন্তকে স্বাগত জানায়। পাশাপাশি, গণমাধ্যমকে ভুল তথ্যভিত্তিক ও ক্ষতিকর প্রতিবেদন প্রকাশ না করার অনুরোধও জানিয়েছে বোর্ড।