ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বিমান অভিযানে বুধবার সন্ধ্যা থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহত হয়েছেন ৪০ জন ফিলিস্তিনি এবং আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৭৩ জন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে এ তথ্য।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ। শুক্রবারের অভিযানের পর গত দেড় বছরে উপত্যকায় মোট নিহত ও আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে যথাক্রমে ৫১ হাজার ৬৫ জন এবং ১ লাখ ১৬ হাজার ৫০৫ জনে। এই নিহত এবং আহতদের ৫৬ শতাংশই নারী ও শিশু।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র রাজনৈতিক গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারা। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা।
এই মৃত্যু ও ধ্বংসের মিছিলে এখনও ২৫১ জন জিম্মির মধ্যে অন্তত ৩৫ জন জীবিত বলে ধারণা করছে ইসরায়েল। আইডিএফ জানিয়েছে, তাদের সামরিক অভিযানের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো এই জিম্মিদের উদ্ধারে অভিযান চালানো। তবে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা ও মধ্যস্থতাকারী দেশগুলো বারবার আহ্বান জানাচ্ছে যেন ইসরায়েল মানবিক বিবেচনায় অন্তত যুদ্ধবিরতির পথে ফেরে। গাজা শহরের হাসপাতালগুলোতে জ্বালানি, ওষুধ ও খাবার সংকটে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে।
জাতিসংঘের আদালত, ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে), ইতিমধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা গ্রহণ করেছে। শুধু আন্তর্জাতিক মঞ্চেই নয়, ইসরায়েলের ভেতরেও বাড়ছে যুদ্ধবিরতির দাবি। বহু নাগরিক, রাজনীতিক, এমনকি সাবেক সেনা কর্মকর্তারাও সরব হয়েছেন—তারা বলছেন, জিম্মিদের মুক্তি চাই, যুদ্ধ নয়।
জনরোষের মুখে পড়েও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এখনো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “হামাসকে পুরোপুরি নির্মূল করা না পর্যন্ত এই অভিযান থামবে না।



