Top Newsআন্তর্জাতিক

গাজা সংকট নিয়ে বারবার মুখ খুলেছিলেন পোপ ফ্রান্সিস

মোহনা অনলাইন

গাজা উপত্যকায় চলমান মানবিক সংকট ও সহিংসতা নিয়ে একাধিকবার মুখ খুলেছেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। শুধু বক্তব্যেই থেমে থাকেননি, গাজায় বসবাসরত ফিলিস্তিনি খ্রিস্টানদের সঙ্গেও নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছেন তিনি। খবর বিবিসির।

গাজার ল্যাটিন-রাইট চার্চ অফ দ্য হোলি ফ্যামিলির যাজক ফাদার গ্যাব্রিয়েল রোমানেলি জানিয়েছেন, গত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে প্রতিদিনই গাজার খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের খোঁজখবর নিতে ফোন করতেন পোপ ফ্রান্সিস। এমনকি আরবি ভাষার কিছু বাক্যও শিখে নিয়েছিলেন, যেন সরাসরি তাদের সঙ্গে হৃদয়ের সংযোগ স্থাপন করতে পারেন।

রোমানেলি বলেন, “সর্বশেষ শনিবার আমাদের সঙ্গে পোপের কথা হয়েছে। তিনি ফোন করে আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছেন এবং তার জন্য প্রার্থনা করার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এখানে জীবনযাপন সহজ নয়। পোপের ঘনিষ্ঠতা আমাদের জন্য ছিল ঈশ্বরের বিশেষ কৃপা। চার্চে ঈশ্বরের সেবা করতে এটাই আমাদের অনুপ্রেরণা দিয়েছে।”

পোপ ফ্রান্সিস তাঁর জীবনের শেষ বার্তায়ও গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানান। ইস্টার সানডের ওই বার্তাটি তাঁর একজন সহযোগী উচ্চস্বরে পাঠ করেন।

পোপ বলেন, “আমি ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্দশার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করছি। যুদ্ধরত পক্ষগুলোর প্রতি আমার আবেদন, যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করুন, জিম্মিদের মুক্তি দিন এবং শান্তির আকাঙ্ক্ষায় এগিয়ে আসুন।”

এর আগে, গত জানুয়ারিতে পোপ গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে “চরম গুরুতর ও লজ্জাজনক” বলে উল্লেখ করেছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে ফিলিস্তিন।
ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক বিবৃতিতে বলেন, “আজ আমরা ফিলিস্তিনি জনগণ ও তাদের বৈধ অধিকারের একজন বিশ্বস্ত বন্ধু হারালাম।”
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, পোপ ফ্রান্সিস ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন এবং ভ্যাটিকানে ফিলিস্তিনি পতাকা উত্তোলনের অনুমতি দিয়েছিলেন।

পোপ ফ্রান্সিস সোমবার (২১ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ মিনিটে ভ্যাটিকানের কাসা সান্তা মার্তায় নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button