ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ পোড়ানো এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ হত্যা— চাঞ্চল্যকর ঘটনা দুটি ঘটেছে মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে।
ডিএমপির দাবি, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসামিদের ছবি ও পরিচয় প্রকাশের কারণে তারা গা ঢাকা দিয়েছে। সর্বাত্মক প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
১২ এপ্রিল ভোরে চারুকলার ‘আনন্দ শোভাযাত্রার’ মোটিফে আগুন ধরিয়ে দেয় এক যুবক। সিসিটিভি ফুটেজে তাকে আরবি বিভাগের ছাত্র ও ছাত্রলীগ কর্মী বলে ধারণা করা হচ্ছে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী আশাবাদ ব্যক্ত করেছিলেন নববর্ষের আগেই তাকে গ্রেপ্তার করা যাবে, কিন্তু এখনো সে অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, যুবকটিকে সর্বশেষ গোপালগঞ্জে শনাক্ত করা গেলেও পরে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সে দেশ ছেড়েছে।
অন্যদিকে, ১৯ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পারভেজ হত্যাকাণ্ডের মূল আসামিরাও পলাতক। হাসাহাসি নিয়ে শুরু হওয়া তর্ক-বিতর্ক শেষে সন্ধ্যায় হামলায় পারভেজ ছুরিকাঘাতে নিহত হন। ঘটনার ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর প্রধান অভিযুক্ত মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসানসহ বাকিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পুলিশ বলছে, বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই ভিডিওটি ফাঁস হয়েছে এবং তারপর থেকেই আসামিদের অবস্থান শনাক্ত করা যাচ্ছে না।
এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও মূল অভিযুক্তরা এখনো অধরা। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।



