পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোকবার্তা প্রকাশের পর তা মুছে ফেলল ইসরায়েল
মোহনা অনলাইন
ক্যাথলিক খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বার্তা দিয়েছিল ইসরায়েল। তবে কিছুক্ষণ পরই পোস্টটি মুছে ফেলা হয়। এ বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ব্যাখ্যা দেওয়া হয়নি।
সংবাদমাধ্যমের তথ্যে জানা যায়, গত সোমবার ৮৮ বছর বয়সে ভ্যাটিকানে মারা যান পোপ ফ্রান্সিস। তার মৃত্যুর পর ‘এক্স’-এ ইসরায়েলের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়, “আপনার আত্মা শান্তি পাক, পোপ ফ্রান্সিস। আপনার জীবনাদর্শ আমাদের জন্য আশীর্বাদ হয়ে থাকুক।”
কিন্তু shortly পরই পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়। ইসরায়েলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দ্য জেরুজালেম পোস্টকে জানান, “প্রয়াত পোপ একাধিকবার ইসরায়েলবিরোধী মন্তব্য করেছিলেন। শোকবার্তাটি ভুলক্রমে প্রকাশ করা হয়েছিল।”
উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস গাজায় ইসরায়েলি অভিযানে হতাহতদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এটিকে সম্ভাব্য গণহত্যা বলে অভিহিত করেন এবং আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপ কামনা করেন। চলতি বছরের জানুয়ারিতে গাজার মানবিক পরিস্থিতিকে ‘লজ্জাজনক’ বলেও উল্লেখ করেন তিনি। এসব মন্তব্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ ক্ষুব্ধ হয়।
পোপের এসব বক্তব্যের প্রেক্ষিতে রোমের প্রধান র্যাবাই অভিযোগ করেছিলেন, ফ্রান্সিস পক্ষপাতদুষ্ট সমালোচনা করছেন।
এদিকে পোপের মৃত্যুতে হামাস ও হিজবুল্লাহ পৃথক বিবৃতিতে শোক জানিয়ে তার মানবিক ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপের প্রশংসা করেছে। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কোনো মন্তব্য না করলেও প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজগ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতি শোকবার্তা পাঠান এবং পোপকে ‘গভীর বিশ্বাস ও সীমাহীন সহানুভূতির মানুষ’ হিসেবে স্মরণ করেন।
দীর্ঘ ইতিহাসে ক্যাথলিক চার্চ ও ইহুদিদের মধ্যে সম্পর্ক উত্তপ্ত থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে কিছুটা উন্নতি দেখা যায়। পোপ ফ্রান্সিস দায়িত্ব পালনকালে দ্বন্দ্বময় ইস্যুতে ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টা করেন এবং উভয় পক্ষের মানবিক অবস্থার প্রতি মনোযোগ দেন।
তবে শোকবার্তা প্রকাশ এবং তা প্রত্যাহারের ঘটনা ইসরায়েল ও ভ্যাটিকানের মধ্যকার সম্পর্কের জটিলতা আবারও সামনে এনেছে।



