
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে বহুল আলোচিত চতুর্থ দফার বৈঠককে ঘিরে আন্তর্জাতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। বৈঠক শেষে ট্রাম্প একে আখ্যা দিয়েছেন ‘ভালো দিনের’ মতো, আর ক্রেমলিন বলছে এটি ছিল ‘গঠনমূলক’।
তবে আলোচনায় অনুপস্থিত ছিল ইউক্রেন। বৈঠকের আগেই ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে দাবি করেন, ‘প্রধান বিষয়গুলোর বেশিরভাগতেই একমত হওয়া গেছে।’ তিনি রাশিয়া ও ইউক্রেনকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসে দ্রুত চুক্তি চূড়ান্ত করার আহ্বান জানান।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল গভীর রাতে দেওয়া এক ভিডিও ভাষণে বলেন, ‘নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়ার জন্য রাশিয়ার ওপর প্রকৃত চাপ প্রয়োজন।’ এর আগের দিন বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, রাশিয়া যদি পূর্ণ ও নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়, তবে কিয়েভ ও মস্কো আঞ্চলিক বিষয়ে আলোচনা করতে পারে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কিন শান্তি প্রস্তাবে রাশিয়া তার অধিকৃত কিছু এলাকা ইউক্রেনকে ফিরিয়ে দিতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে রোমে পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যাওয়ার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে ট্রাম্প জানান, ক্রিমিয়া উপদ্বীপ রাশিয়ার অধীনে রাখার পক্ষে তিনি সমর্থন দেবেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার হামলা চালায় রাশিয়া এবং এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড দখলে রেখেছে মস্কো।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহযোগী ইউরি উশাকভ জানান, পুতিন ও ট্রাম্পের দূত উইটকফের মধ্যে প্রায় তিন ঘণ্টা দীর্ঘ আলোচনাটি ছিল ‘খুব কার্যকর’। তিনি বলেন, শুধু ইউক্রেন নয়, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ইস্যুতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র আরও কাছাকাছি এসেছে। আলোচনায় ইউক্রেনীয় সংকট নিয়ে সরাসরি রাশিয়া-ইউক্রেন আলোচনার সম্ভাবনাও উঠে এসেছে।