জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেছেন, “ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে নিরন্তর সংগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর অবদান নিঃসন্দেহে সবার স্মরণে থাকবে।” তিনি জানান, বিচার ও বিচারবর্হিভূত প্রক্রিয়ায় দলটির নেতাকর্মীরা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন, তবে তাঁরা সাহসিকতার সঙ্গে তা মোকাবিলা করে গণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নিয়েছেন।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় সংসদের এলডি হলে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মতবিনিময় সভায় সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
অধ্যাপক রীয়াজ বলেন, “গত ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিবাদী শাসনের সময় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই করেছেন। চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে তাঁদের সাহসিক অংশগ্রহণ, ত্যাগ এবং কারাবরণ জাতি কখনও ভুলবে না।” তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণেও দলটির ভূমিকা থাকবে।
জাতীয় সনদ প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “আমরা এমন এক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে কেউ নিপীড়নের শিকার হবে না, কেউ বিচারবর্হিভূত ব্যবস্থার মুখোমুখি হবে না।”
রাষ্ট্র সংস্কারে অর্ন্তবর্তী সরকারের উদ্যোগকে জনগণের আকাঙ্ক্ষার ফসল উল্লেখ করে আলী রীয়াজ বলেন, “এটি কোনো রাজনৈতিক দলের একক উদ্যোগ নয়, বরং জাতির অভিন্ন চেষ্টার প্রতিফলন। সেই প্রক্রিয়ায় জামায়াত আন্তরিকভাবে অংশ নিয়েছে, এজন্য তাঁদের ধন্যবাদ।”
সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের অন্যান্য সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার এবং ড. ইফতেখারুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে অংশগ্রহণ করেন দলের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।



