
রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণসহ বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)-র ৩৬টি কার্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুদকের প্রধান কার্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন জেলা অফিস থেকে এ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযান চালানো অফিসগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকার আগারগাঁওয়ে এলজিইডির প্রধান কার্যালয়, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, দিনাজপুর, জামালপুরের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় এবং ঢাকার কেরাণীগঞ্জ, বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ, বরিশালের মুলাদী, বগুড়ার শিবগঞ্জ, লক্ষ্মীপুরের কমলনগর, কক্সবাজারের রামু, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম, চট্টগ্রামের আনোয়ারা, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ, গাজীপুর সদর, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া, যশোরের বাঘারপাড়া, মাগুরার শ্রীপুর, খুলনার বটিয়াঘাটা, কিশোরগঞ্জ সদর, কুড়িগ্রামের উলিপুর, কুষ্টিয়ার দৌলতপুর, শরীয়তপুরের জাজিরা ও ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের বন্দর, নোয়াখালীর কবিরহাট, নওগাঁ সদর, সিরাজগঞ্জের তাড়াশ, পটুয়াখালী সদর, পিরোজপুরের নাজিরপুর, গাইবান্ধার ফুলছড়ি, সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর, টাঙ্গাইলের ভুঞাপুর, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া এবং রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়েও অভিযান চালানো হয়।
অভিযোগ রয়েছে, এসব এলাকায় গ্রামীণ রাস্তা, ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণকাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার, গুণগতমান বজায় না রাখা, কাজ না করেও বা সামান্য কাজ দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের মতো অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। অধিকাংশ অভিযোগ ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।
এর আগে, গত ১৬ এপ্রিল দলিল রেজিস্ট্রেশন, তল্লাশি ও নকল উত্তোলনে দুর্নীতির অভিযোগে দেশের ৩৫টি সাব-রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান চালিয়েছিল দুদক। তখন অনেক অনিয়মের প্রমাণসহ হাতেনাতে ঘুষের ঘটনায় জড়িতদের আটক করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার এলজিইডিতে অভিযান চালানো হলো।