কানাডার নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি। এর ফলে আবারও দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন মার্ক কার্নি। স্থানীয় সময় সোমবার (২৮ এপ্রিল) ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর এই ফল জানা গেছে।
লিবারেল পার্টি সংসদের ৩৪৩ আসনের মধ্যে অধিকাংশ আসনে এগিয়ে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে তারা একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলে লিবারেলরা অন্য দলের সহায়তা ছাড়াই আইন পাস করতে পারবে, যা সরকার পরিচালনা সহজ করবে।
মার্কিন প্রভাব ও নির্বাচনী ফলাফল:
এপি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনের আগে উদারপন্থী লিবারেলরা বড় ধরনের পরাজয়ের মুখে ছিল। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কিছু কার্যক্রম নির্বাচনের গতিপথ পাল্টে দেয়। ট্রাম্প কানাডার তৈরি গাড়ির ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন এবং কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম রাজ্য বানানোর মন্তব্য করেন। তার এই বক্তব্য কানাডায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে এবং জাতীয়তাবাদী আবেগ উসকে দেয়, যা শেষ পর্যন্ত লিবারেলদের পক্ষে যায়।
নেতৃত্ব পরিবর্তন ও কার্নির উত্থান:
চলতি বছরের শুরুতে টানা ৯ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকার পর জাস্টিন ট্রুডো পদত্যাগ করেন। এরপর গত ৯ মার্চ লিবারেল পার্টির নেতৃত্ব নির্বাচনে ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৭৪ ভোট পেয়ে নতুন নেতা নির্বাচিত হন মার্ক কার্নি।
মার্ক কার্নি এর আগে ব্যাংক অব কানাডা এবং ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যার ফলে তার অর্থনৈতিক দক্ষতার ব্যাপারে অনেকের আস্থা রয়েছে।
কানাডায় প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের প্রক্রিয়া:
কানাডায় ভোটাররা সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করেন না। তারা তাদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকার প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। যে দল হাউস অব কমন্সে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করে, সেই দলের নেতা হন প্রধানমন্ত্রী।
যদি কোনো দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করে, তবে সর্বাধিক আসন পাওয়া দল সংখ্যালঘু সরকার গঠন করে এবং সরকারের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করতে অন্য দলের সমর্থনের প্রয়োজন হয়। কখনও কখনও একাধিক দল আনুষ্ঠানিক চুক্তির মাধ্যমে জোট সরকার গঠন করে।



