
বর্তমান সময়ের ছোটপর্দার আলোচিত ও জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের তালিকায় অন্যতম নাম জান্নাতুল সুমাইয়া হিমি। নাচের মধ্য দিয়ে তার শোবিজে যাত্রা শুরু, এরপর কিছুদিন মডেলিং করলেও শেষ পর্যন্ত অভিনয়েই তিনি থিতু হয়েছেন। কঠোর পরিশ্রম আর প্রতিভার সমন্বয়ে নাট্যজগতে গড়ে তুলেছেন নিজের শক্ত অবস্থান। ইউটিউবে ভিউয়ের দৌড়েও এগিয়ে রয়েছে তার অভিনীত নাটকগুলো।
সম্প্রতি ‘শ্বশুরবাড়িতে ঈদ’ নামে একটি একক নাটক ইউটিউবে ভিউয়ের দিক থেকে ভেঙে দিয়েছে আলোচিত টেলিফিল্ম ‘বড় ছেলে’র রেকর্ড। মহিন খান পরিচালিত এ নাটকে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন নিলয় আলমগীর ও হিমি। নাটকটি এখন বাংলা নাটকের ভিউয়ের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। এর মাধ্যমে নিলয়-হিমি জুটিও পৌঁছে গেছে জনপ্রিয়তার শিখরে।
আরও একটি উল্লেখযোগ্য অর্জনের খাতায় নাম লিখিয়েছেন হিমি। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম নারী অভিনেত্রী, যার শতাধিক নাটকের ভিউ ১ কোটি করে অতিক্রম করেছে। এ আনন্দের খবরটি তিনি সম্প্রতি নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ফটোকার্ডের মাধ্যমে ভাগ করে নিয়েছেন। এই সাফল্যে যেমন উচ্ছ্বসিত ‘টিম হিমি’, তেমনি সহকর্মী ও দর্শকদের শুভেচ্ছায় সিক্ত হচ্ছেন তিনি।
অভিনয়ের এই অর্জন প্রসঙ্গে হিমি বলেন, “এসবই দর্শকদের কারণে সম্ভব হয়েছে। তারা ভালোবেসে নাটকগুলো দেখেছেন বলেই আজকের এই অবস্থান। এর কৃতিত্ব আমি দর্শক, সহকর্মী, পরিবারসহ সবাইকে দিতে চাই।” তবে তিনি মনে করেন, শুধুমাত্র ভিউ দিয়ে শিল্পের মান নির্ধারণ করা উচিত নয়। হিমির ভাষায়, “আমি ভিউ বা টাকার জন্য অভিনয় করি না।”
বর্তমানে হিমি ব্যস্ত সময় পার করছেন আসন্ন কুরবানির ঈদের নাটক নিয়ে। প্রতিদিনই থাকছেন শুটিংয়ে। তিনি জানান, “গত ঈদের নাটকগুলো দর্শক দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। আশা করি, এবারের কাজগুলোও দর্শকের পছন্দের শীর্ষে থাকবে।”
অভিনয় জগতের বাইরে সংগীতেও রয়েছে হিমির দক্ষতা। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছায়ানটে নজরুল সংগীতে তালিম নিয়েছেন। বরেণ্য সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরার কাছেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। তার সংগীতের হাতেখড়ি হয় সাধনা মিত্রের কাছে। গত ঈদে জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’-তে গান গেয়ে সংগীতশিল্পী হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন তিনি।
এছাড়া নাটকের পাশাপাশি হিমি অভিনয় করেছেন কলকাতার একটি সিনেমাতেও, যা তার বহুমাত্রিক প্রতিভার আরেকটি প্রমাণ।