
জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার জের ধরে আগামী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে সামরিক অভিযান চালাতে পারে ভারত—এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। গতকাল (২৯ এপ্রিল) ইসলামাবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন।
আতাউল্লাহ জানান, “নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, ভারত পেহেলগাম হামলার জন্য ভিত্তিহীনভাবে পাকিস্তানকে দায়ী করছে এবং তার জেরে দ্রুত সামরিক পদক্ষেপ নিতে পারে।” তিনি বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ইস্যুতে ভারত একতরফাভাবে বিচারক, জুরি ও শাস্তিদাতা হিসেবে আচরণ করছে, যা বিপজ্জনক প্রবণতা।
পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সন্ত্রাসবাদের শিকার এবং বরাবরই যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়ে এসেছি। নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠিত হলে, পাকিস্তান সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। কিন্তু ভারত সংঘাতমুখী পথ বেছে নিয়েছে, যা পুরো অঞ্চলকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, “ভারত প্রকৃত সত্য এড়িয়ে যেতে চাইছে এবং রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে জনমতকে প্রভাবিত করছে।” আতাউল্লাহ হুঁশিয়ার করে বলেন, ভারত যদি সামরিক পদক্ষেপ নেয়, তাহলে পাকিস্তানও এর ‘সমুচিত জবাব’ দেবে।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে হঠকারি সিদ্ধান্তের দায়ভার ভারতের ওপরই বর্তাবে। আমরা আন্তর্জাতিক মহলের সক্রিয় ও দায়িত্বশীল ভূমিকা প্রত্যাশা করি।”
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে লস্কর-ই-তৈয়বার সহযোগী গোষ্ঠী দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্টের সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হয়। হামলাকারীরা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে পুরুষ পর্যটকদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এটি ২০১৯ সালের পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলা।
এই ঘটনার পর ভারত পাকিস্তানকে দায়ী করে এবং সিন্ধু নদ চুক্তি স্থগিতসহ একাধিক প্রতিক্রিয়া জানায়। পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে পাকিস্তানও স্থল ও আকাশপথে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। একইসঙ্গে দুই দেশের সীমান্তে গুলিবিনিময় ও প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে