
২০০১ সালে রমনা বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ভয়াবহ বোমা হামলার ঘটনায় হাইকোর্টের রায় ঘোষিত হবে আগামী ৮ মে। বুধবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি নাসরিন আক্তারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের ওপর আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমাণ (CAV) রাখা হয়।
আসামিপক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও সরওয়ার আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।
২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ছায়ানট আয়োজিত অনুষ্ঠানে বোমা হামলায় নয়জন ঘটনাস্থলে নিহত হন এবং পরে হাসপাতালে মারা যান আরও একজন। ওই দিনই রাজধানীর নীলক্ষেত পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট অমল চন্দ্র চন্দ রমনা থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন।
২০০৮ সালের ৩০ নভেম্বর সিআইডি ১৪ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকার বিচারিক আদালত হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করে।
রায়ে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামীর (হুজি) শীর্ষ নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানসহ আটজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মুফতি আব্দুল হান্নান (যার মৃত্যুদণ্ড সিলেট গ্রেনেড হামলা মামলায় ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে), মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মাওলানা তাজউদ্দিন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, মাওলানা আব্দুল হাই, মাওলানা শফিকুর রহমান
বিচারিক আদালতের রায় ঘোষণার পর মামলাটি ডেথ রেফারেন্স হিসেবে হাইকোর্টে আসে এবং জেল আপিলও করা হয়। পরে পেপারবুক প্রস্তুতের পর এটি কার্যতালিকায় ওঠে।
উল্লেখ্য, হত্যা মামলার রায় হলেও বিস্ফোরক আইনের মামলাটি এখনো ঢাকার ১ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।