অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, “শ্রমিকের ন্যায্য স্বীকৃতি এবং সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
মহান মে দিবস ও জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস ২০২৫ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশ একটি রোডম্যাপ বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমমান উন্নয়নে কাজ করছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় একটি সমন্বিত জাতীয় পরিকল্পনাও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য ছিল: “শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়বো এদেশ নতুন করে।”
প্রফেসর ইউনূস বলেন, “ছাত্র-শ্রমিক-জনগণের অভ্যুত্থান একটি নতুন বাংলাদেশের আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি করেছে। তবে শ্রমিকের অবস্থা আগের মতো থাকলে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না।”
তিনি বলেন, শ্রমিক-মালিকের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, আস্থা ও সহযোগিতার মাধ্যমেই টেকসই উন্নয়ন সম্ভব। একই সঙ্গে তিনি শ্রমিকদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে আগামী জুনে বাংলাদেশ ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে অংশ নেবে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, “শ্রম কমিশনের রিপোর্ট ও সুপারিশমালাই আমাদের ভবিষ্যৎ লক্ষ্য। আমরা তা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়নের চেষ্টা করব।”
তিনি আরও বলেন, “নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা শুধু শ্রমিকের অধিকার নয়, শিল্প উন্নয়নেরও শর্ত।”
শ্রমিকের কল্যাণে সরকার শ্রম আইন সংশোধনসহ শ্রম আদালতের কার্যক্রম গতিশীল করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। শ্রমিক অসন্তোষের বিষয়ে বলেন, “বকেয়া বেতন সংক্রান্ত সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে।”
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম সংস্থা কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহমেদ ও মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান প্রমুখ।



