প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, “এখন মানুষ মন খুলে লিখছে, সমালোচনা করছে, এমনকি গালিও দিচ্ছে—কাউকে কিছু বলা হচ্ছে না। কেউ কেউ বলছে আমরা স্বৈরাচারের দোসরদের প্রতি সফট, কিন্তু আমরা তো আইনের বাইরে কিছু করতে পারি না।”
শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লব পরবর্তী বাংলাদেশ: গণমাধ্যমের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আমরা কোনো কলম ভেঙে দেইনি, কোনো প্রেসে তালা দেইনি। কোনো গণমাধ্যম কর্মী চাকরি হারালে অফিসের সামনে প্রতিবাদ করুন। প্রধান উপদেষ্টা সম্পাদকদের বলেছেন, মন খুলে লিখতে।”
শফিকুল আলম আরও বলেন, “মানুষ এখন ভিডিও দেখে, নিউজ পড়ে কম। এই সুযোগে ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করা হচ্ছে। ফ্যাক্টচেক ছাড়া এসব বিশ্বাস করছে অনেকে। ফলে সমাজে ও রাজনীতিতে সংঘাত তৈরি হচ্ছে। সামনে নির্বাচন, গণমাধ্যমকে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত থাকতে হবে। প্রতিটি গণমাধ্যমে ফ্যাক্ট চেকিং সেল থাকা উচিত।”
তিনি জানান, জাতিসংঘ জুলাই গণহত্যা নিয়ে একটি চমৎকার প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর মতোই বিগত ১৫ বছরের সাংবাদিকতা, তিনটি নির্বাচন, আইসিটির রায়, শাপলা চত্বরের ঘটনা ইত্যাদি নিয়ে একটি প্যানেল তদন্তের অনুরোধ জানাবে সরকার।
আলোচনায় চট্টগ্রামের কিছু সাংবাদিক আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, “এটি গুরুতর অভিযোগ। একজন বিচারক, অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত।”
সভায় প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সাংবাদিকতায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। এই আইন বাতিল করা হবে। সরকার গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছে।”
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি (সভাপতিত্বে), বিএফইউজে’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুস সাত্তার, ডা. খুরশীদ জামিল, ওসমান গণি মনসুর, অধ্যাপক শহীদুল হক, অধ্যাপক নসরুল কদির, রিজাউর রহমান, নীলা আফরোজ ও মোহাম্মদ শাহনওয়াজ।



