
আলোচিত আইনজীবী ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজের ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়া বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব নিউ সাউথ ওয়েলস। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লিখিতভাবে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রপক্ষ রোববার (৪ মে) ওই চিঠি আপিল বিভাগে উপস্থাপন করে।
এ তথ্য জানান আইনজীবী ব্যারিস্টার সাজ্জাদ হায়দার।
এর আগে, ১৩ মার্চ একটি বাড়ি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বলেন, প্রসিকিউটর থাকা অবস্থায় তুরিন আফরোজ ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন এবং নিজের মাকে উত্তরার বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। তিনি আদালতের কাছে শামসুন্নাহার বেগমের বসবাসের নির্দেশনা প্রার্থনা করেন।
ওই মামলায় আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনে, ২০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিমের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ একটি রুল যথাযথ ঘোষণা করে উত্তরার বাড়িতে তুরিন আফরোজের মা শামসুন্নাহার বেগম ও ভাই শাহনেওয়াজ আহমেদের বসবাসের ক্ষেত্রে আর কোনো আইনগত বাধা নেই বলে রায় দেন।
আইনি প্রক্রিয়ায় জানা যায়, রাজধানীর উত্তরার রেসিডেনশিয়াল মডেল টাউনের পাঁচতলা বাড়িটিতে ২০০২ সাল থেকে শামসুন্নাহার বেগম ও তার ছেলে শিশির আহমেদ শাহনেওয়াজ বসবাস করছিলেন। তবে ২০১৭ সালে তুরিন আফরোজ তাদের সেখান থেকে বের করে দেন। এরপর উভয়পক্ষই বাড়ির মালিকানা দাবি করে আদালতে দেওয়ানি মামলা দায়ের করে। এক পর্যায়ে আদালত বাড়ির ভোগদখলের ওপর স্থিতাবস্থা জারি করেন।
বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে মামলাটি হাইকোর্টে আসে এবং সর্বশেষ হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বাতিল করে দেন। এখন বাড়ির ভোগদখল ও মালিকানা নির্ধারণে বিচারিক আদালতে মামলাগুলো স্বাভাবিকভাবে চলবে বলে জানিয়েছেন ব্যারিস্টার আতিকুল হক।
মামলার আরজিতে তুরিন আফরোজ দাবি করেন, তার মা ১৯৯১ সালে উত্তরার সম্পত্তি ক্রয় করেন এবং পরবর্তীতে তার বাবা তসলিম উদ্দিনের মাধ্যমে ১৯৯৪ সালে তাকে দানপত্রের মাধ্যমে হস্তান্তর করা হয়। তবে শামসুন্নাহার ও শাহনেওয়াজ দাবি করেছেন, ১৯৯৭ সালে শামসুন্নাহার তার ছেলে শাহনেওয়াজকে হেবা করে দেন এবং পরে তার নামে নামজারি করে ঋণ গ্রহণ করে বাড়িটি নির্মাণ করেন।