
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছে। রোববার সকালে দলটির পক্ষে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চে এ আবেদন উপস্থাপন করেন।
আবেদনে বলা হয়, রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতের নিবন্ধন ও ভবিষ্যৎ এ মামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত। ইতোমধ্যে আপিল শুনানি শুরু হলেও হঠাৎ তা স্থগিত হয়ে যায়, তাই দ্রুত শুনানি জরুরি। আদালত শুনানি শেষে জানান, বিষয়টি মঙ্গলবার বা বুধবারের মধ্যে তালিকাভুক্ত হতে পারে।
এর আগে, ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর জামায়াতের খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আদেশ দেন আপিল বিভাগ। এর ফলে দলটির নিবন্ধন ও প্রতীক ‘দাঁড়িপাল্লা’ ফিরে পাওয়ার আইনি পথ উন্মুক্ত হয়।
২০২৪ সালের ১২ মার্চ শুরু হয় আপিল শুনানি। শুনানিতে জামায়াতের পক্ষে অংশ নেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।
এর আগে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট এক রিট নিষ্পত্তি করে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। এরপর ২০১৮ সালের ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলেও শুনানিতে মূল আইনজীবী অনুপস্থিত থাকায় ২০২3 সালের নভেম্বর মাসে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের আপিল বেঞ্চ ‘ডিসমিস ফর ডিফল্ট’ বলে আপিল খারিজ করেন। ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
এদিকে ২০২৩ সালের ১ আগস্ট চলমান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮(১) ধারা অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তবে একই বছরের ২৮ আগস্ট এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।