মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, তিনি বিদেশি চলচ্চিত্রের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করতে যাচ্ছেন। তার ভাষায়, বিদেশি প্রতিযোগিতার চাপে হলিউড “অত্যন্ত দ্রুত গতিতে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।”
রবিবার এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি বাণিজ্য বিভাগ ও মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয়কে অবিলম্বে “বিদেশি যেকোনো চলচ্চিত্রের” ওপর শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি লেখেন, “অন্যান্য দেশ আমাদের স্টুডিও ও নির্মাতাদের নানা প্রণোদনার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে যেতে উৎসাহ দিচ্ছে। এর ফলে হলিউডসহ দেশের আরও অনেক শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”
ট্রাম্প আরও বলেন, “এটি কেবল অর্থনৈতিক ইস্যু নয়, বরং এটি বার্তা এবং প্রচারণারও বিষয়। এটি একটি সমন্বিত আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা, যা আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।”
পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমরা এখন খুব কম সিনেমা তৈরি করছি। অনেক দেশ আমাদের সিনেমা শিল্প কার্যত চুরি করে নিচ্ছে। যদি তারা যুক্তরাষ্ট্রে সিনেমা না বানায়, তাহলে সেই ছবিগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ করাই উচিত।”
তবে এই শুল্ক কার্যকর করার পদ্ধতি নিয়ে ট্রাম্প কোনো পরিষ্কার দিকনির্দেশনা দেননি—বিশেষ করে সেই সব চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে, যেগুলোর শুটিং ও প্রযোজনা একাধিক দেশে সম্পন্ন হয়।
এর আগে জানুয়ারিতে ট্রাম্প হলিউডের হারানো ব্যবসা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন, মেল গিবসন এবং জন ভয়েটকে “বিশেষ দূত” হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি বলেছিলেন, এঁরাই হবেন “হলিউডের সোনালি যুগ” ফিরিয়ে আনার পথে তার “চোখ ও কান।”
করোনা মহামারি ও ২০২৩ সালের লেখক ও অভিনেতাদের ধর্মঘটের পর হলিউড এক কঠিন সময় অতিক্রম করছে। গবেষণা সংস্থা গাওয়ার স্ট্রিট অ্যানালিটিক্স-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বব্যাপী হলিউড স্টুডিওগুলো প্রায় ৩০ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে, যা আগের বছরের তুলনায় প্রায় ৭ শতাংশ কম এবং মহামারির আগের গড় আয়ের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম।



