স্বাস্থ্যসেবা খাতের সংস্কার বিষয়ে গঠিত কমিশন আজ সোমবার (৫ মে) প্রধান উপদেষ্টার কাছে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এই প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়িত হলে স্বাস্থ্য খাতে মৌলিক ও ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার এক ফেসবুক পোস্টে জানান, কমিশনের সুপারিশে উল্লেখ থাকতে পারে—ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির প্রতিনিধিরা আর সরাসরি হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন না। ওষুধ সংক্রান্ত তথ্য শুধুমাত্র ই-মেইলের মাধ্যমে জানাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, “এটি বাস্তবায়ন করা গেলে চিকিৎসকদের সময় সাশ্রয় হবে, উপহার বা ঘুষ লেনদেন কমে আসবে এবং অপ্রয়োজনীয় ওষুধ প্রেসক্রিপশনের প্রবণতা হ্রাস পাবে।”
পোস্টে আরও উল্লেখ করা হয়, প্রেসক্রিপশনে ওষুধের জেনেরিক নাম লেখা বাধ্যতামূলক করার সুপারিশও আসতে পারে, যা স্বাস্থ্য খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার হিসেবে বিবেচিত হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ১৭ নভেম্বর অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খানকে প্রধান করে ১২ সদস্যবিশিষ্ট স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।



