‘সাদা পতাকা উড়িয়ে’ পরাজয় স্বীকার করেছে ভারত: দাবি পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রীর
মোহনা অনলাইন
ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সামরিক উত্তেজনা ক্রমেই বিস্তৃত আকার ধারণ করছে। বুধবার (৭ মে) পাকিস্তান দাবি করেছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা (LoC) বরাবর একটি ভারতীয় সামরিক চৌকিতে ‘সাদা পতাকা’ উত্তোলন করা হয়েছে—যা আন্তর্জাতিকভাবে আত্মসমর্পণের প্রতীক হিসেবে পরিচিত। এই দাবি ঘিরে যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘনীভূত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পাকিস্তানের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার এক্স (সাবেক টুইটার) প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে বলেন, “প্রথমে তারা (ভারত) হামলার তদন্ত এড়িয়ে গিয়েছিল, এখন যুদ্ধের ময়দান থেকেও পালাচ্ছে।” একই দাবি পাকিস্তান সরকারের অফিসিয়াল এক্স অ্যাকাউন্ট থেকেও পুনরায় করা হয়।
তবে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে ভারত পাকিস্তানের অভ্যন্তরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে, পাল্টা জবাবে পাকিস্তানও সামরিক অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী জানান, পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩টি ফ্রান্সের তৈরি রাফাল জেট, ১টি মিগ-২৯ এবং ১টি সুখোই এসইউ-৩০।
তিনি আরও জানান, এসব বিমান পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় তাদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। একই সঙ্গে কাশ্মীর সীমান্তজুড়ে তীব্র গুলি বিনিময় চলছে এবং পাকিস্তান বিমান বাহিনী (PAF) সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ দাবি করেন, কয়েকজন ভারতীয় সেনাকে যুদ্ধবন্দি হিসেবে আটক করা হয়েছে এবং পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি ভারতীয় ব্রিগেড সদরদপ্তরেও হামলা চালিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। সেই ঘটনার পর থেকেই নিয়ন্ত্রণরেখা জুড়ে ভারী গোলাগুলি ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা অব্যাহত রয়েছে।



