Top Newsসংবাদ সারাদেশ

শেখ হাসিনা ও জামাই মুশতাকসহ ৪৪৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

মোহনা অনলাইন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমন ও ৪৪ জন পুলিশ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন সিনথিয়া ইসলাম তিশার বাবা সাইফুল ইসলাম। মামলার প্রধান আসামির তালিকায় রয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার জামাতা মুশতাক আহমেদ।

মামলায় শেখ হাসিনা ও মুশতাক ছাড়াও সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেনসহ ৪৪৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলায় অজ্ঞাত আরও ১০ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ মে) রাত সাড়ে ১১টায় মোবাইল ফোনে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদী সাইফুল ইসলাম। তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আকচা ইউনিয়নের উত্তর ঠাকুরগাঁও বকসের হাট বামনপাড়া গ্রামের মৃত ওয়াজেদ আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি ঢাকার উত্তর মুগদায় বসবাস করছেন এবং পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি ৩নং আকচা ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক ছিলেন।

মামলার অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে বৈষম্যবিরোধী কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরু হলে সরকার তা দমন করতে দমন-পীড়নের পথ বেছে নেয়। শেখ হাসিনাসহ অভিযুক্তরা অর্থায়ন, পরিকল্পনা ও নির্দেশনার মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে ছাত্র ও জনতার ওপর নির্বিচারে হামলা ও গুলি চালায়। এতে ছাত্র-জনতা ও পুলিশের মধ্যে অন্তত ১,৪০০ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে ৪৪ জন পুলিশ সদস্যও ছিলেন। বহু মানুষ গুরুতর আহত ও চিরতরে অন্ধত্ববরণ করেছেন।

বাদী সাইফুল ইসলাম বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অনেক প্রাণহানি ঘটেছে। এই আন্দোলনে শুধু ছাত্র-জনতাই নয়, পুলিশেরও ৪৪ জন সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। আমি চাই সব হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হোক। এতগুলো পুলিশ সদস্য নিহত হলেও এখনো কেউ মামলা করেনি। আমি সেই দায়বদ্ধতা থেকে মামলাটি করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “যে সাংবাদিকরা স্বৈরাচার হাসিনার সঙ্গে আতাত করে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধেও আমি মামলা করেছি। নিরপেক্ষ তদন্ত হলে প্রকৃত দোষীদের নাম সামনে আসবে বলে আমার বিশ্বাস।”

সাইফুল ইসলাম মামলাটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button