নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীকে হত্যা ও হত্যাচেষ্টাসহ পাঁচটি মামলায় গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। শুক্রবার (৯ মে) ভোরে শহরের কালীবাজার এলাকার নিজ বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারের পর তাঁকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থিত গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নেওয়া হয়েছে। দুপুরে তাঁকে আদালতে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী।
আইভীর গ্রেপ্তারের সময় শহরের বিবি রোড এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তাঁর অনুসারীরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে এবং পটকা বিস্ফোরণ ঘটায়। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
গ্রেপ্তারের সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী বলেন, “পুলিশ কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছাড়াই আমাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলা যদি অপরাধ হয়, তাহলে আমি অপরাধী। তবে ২১ বছরের সেবায় আমি কাউকে আঘাত করার মতো কিছু করিনি।”
তিনি আরও বলেন, “যখনই নারায়ণগঞ্জে কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, আমি প্রতিবাদ করেছি। আজ কোনো অপরাধ না করেও আমাকে অপরাধী বানানো হচ্ছে। এটা একধরনের বৈষম্য।” একইসঙ্গে তিনি নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি পাশে থাকার আহ্বান জানান।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সিদ্ধিরগঞ্জ ও ফতুল্লা থানায় দায়ের হওয়া হত্যা ও হত্যাচেষ্টার পাঁচটি মামলায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার একটি হত্যা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের সিটি করপোরেশনগুলো বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর থেকে নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।



