
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তজুড়ে একাধিক ড্রোন ও গোলাবারুদ দিয়ে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী—এমন দাবি করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে এসব হামলার ঘটনা ঘটে বলে শুক্রবার এক্স (সাবেক টুইটার)-এ এক পোস্টে জানানো হয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর দাবি, হামলাগুলো সফলভাবে প্রতিহত করা হয়েছে। একই সময় জম্মু অঞ্চলে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। রয়টার্সের এক সাংবাদিক জানান, বিস্ফোরণের সময় পুরো এলাকা আলোকিত হয়ে ওঠে এবং সাইরেন বাজতে শোনা যায়। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্ধকার নেমে আসে।
পাকিস্তান এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক সূত্র দাবি করেছে, জম্মুর সাতওয়ারি, সাম্বা, রণবীর সিং পুরা ও আরনিয়া এলাকায় পাকিস্তান থেকে ছোড়া আটটি ক্ষেপণাস্ত্র ভারত আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভারত এ হামলার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করলেও ইসলামাবাদ তা নাকচ করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় ভারত, যার আওতায় পাকিস্তান ও দেশটির নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের নয়টি স্থানে অভিযান চালানো হয়। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। যদিও ভারত এ দাবি অস্বীকার করেছে।
রয়টার্সকে দেওয়া বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের দুই কর্মকর্তা জানান, পাকিস্তান চীনের তৈরি জে-১০ যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ভারতের দুটি যুদ্ধবিমান গুলি করে ভূপাতিত করেছে। এর মধ্যে একটি ছিল ফ্রান্সের তৈরি রাফাল।
এদিকে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র মেজর জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী জানিয়েছেন, করাচি, লাহোর, রাওয়ালপিন্ডিসহ বিভিন্ন স্থানে ভারতের ২৯টি ইসরায়েলি-নির্মিত ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এর একটি লাহোরে একটি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর চার সদস্যকে আহত করে।