
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বলেছেন, “একটি দলের এক্টিভিস্টরা বলে বেড়াচ্ছেন— বারবার লীগ নিষিদ্ধের আইনি প্রক্রিয়ায় ছাত্ররা রাজি ছিল না। এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমার নেতৃত্বে প্রথম ক্যাবিনেট বৈঠকেই আমি স্পষ্টভাবে এ আইনের একাধিক ধারা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলাম। নাহিদ ও আসিফও এতে আমার পক্ষে ছিলেন।”
তিনি আরও বলেন, “একটি দলের এক্টিভিস্টরা আজ যাঁর যুক্তির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন, সেই উপদেষ্টা ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের মত পশ্চাৎপদ উদাহরণ টেনে বারবার লীগের বিচারে আপত্তি তুলেছিলেন। অথচ, তাঁর সঙ্গে আমাদের কোনো ব্যক্তিগত বিরোধ নেই। কৃত্রিমভাবে বিরোধ তৈরি করে ছাত্রদের বিপক্ষে মিথ্যা প্রচার চালানো অর্থহীন।”
মাহফুজ আলম আরও জানান, “দুজন আইন ব্যাকগ্রাউন্ডের উপদেষ্টা— যাঁদের একজন প্রয়াত— আমাদের বক্তব্যের পক্ষে ছিলেন। সংস্কৃতি উপদেষ্টাও সমর্থন দিয়েছেন। গতকাল বিকেলে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি জানান, বারবার লীগের বিচার সংক্রান্ত প্রভিশন অচিরেই যুক্ত করা হবে— এজন্য তাঁকে ধন্যবাদ জানাই।”
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মিথ্যা বলা বন্ধ করুন। ছাত্রদের দল ঘোষণার প্রাক্কালে আপনারা দলীয় বয়ানের একটি খসড়া নিয়ে দুই মাস টালবাহানা করেছেন। আমাদের ভুলও কম নয়— আমরা আপনাদের দলের প্রধানের আশ্বাসে আস্থা রেখেছিলাম। এখন সেই আস্থা প্রতারিত হয়েছে।”
নির্বাচন বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, “ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন হবে। আমরা তা পেছাতে চাই না। ছাত্ররা যদি নিজেরা সিদ্ধান্ত না নিয়ে অন্যের নির্দেশে চলত, তাহলে আমরা এতদিন পরিকল্পনা করে এগোতাম না। বরং, আমরা উক্ত দলকেই সবচেয়ে বেশি ভরসা করেছি। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করেই পদক্ষেপ নিয়েছি। কিন্তু প্রতিদানে পেয়েছি শুধু হতাশা।”
শেষে তিনি বলেন, “আমরা এখনো উক্ত দল ও তাদের প্রধানকে বিশ্বাস করতে চাই। আশা করি, তাঁরা লীগ নিষিদ্ধ প্রশ্ন ও ঘোষণাপত্র প্রকাশে দেশপ্রেমিক ও প্রাগমাটিক ভূমিকা রাখবেন। রাজনৈতিক ঐকমত্য গঠনে তাঁরা নেতৃত্ব দেবেন। ছাত্ররা প্রস্তুত— শুধু দরকার সৎ নেতৃত্ব। সবাইকে বলছি, ঐক্যবদ্ধ হোন, নেতৃত্ব দিন। এ প্রজন্মকে হতাশ করবেন না। এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ।”