
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করে নিষিদ্ধ করার দাবিতে আন্দোলনকারীরা প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে থেকে সরে এসে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।
শুক্রবার (৯ মে) দুপুর ১২টায় যমুনার সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে মঞ্চমুখী হন এনসিপির মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ ও মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
মঞ্চের সামনে এসে তারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের জোরালো দাবি জানান। এ সময় আন্দোলনকারীরা ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ ব্যান’, ‘চব্বিশের বাংলায়, আওয়ামী লীগের ঠাঁই নাই’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।
জানা গেছে, আন্দোলনকারীরা মঞ্চের সামনেই জুমার নামাজ আদায় করবেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। জনরোষের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করেন দলটির প্রধান শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের তথ্যমতে, ওই অভ্যুত্থানে নিরাপত্তা বাহিনী ও আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডারদের সহিংসতায় ১,৪০০ জনের মৃত্যু ঘটে।
সরকার পতনের পর থেকেই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম আওয়ামী লীগের বিচার দাবিতে সোচ্চার। বুধবার (৭ মে) গভীর রাতে সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের গোপনে দেশত্যাগের ঘটনায় আন্দোলন আরও বেগবান হয়। সরকার এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার (৮ মে) রাত ১০টায় যমুনার সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন এনসিপির হাসনাত আবদুল্লাহ। এতে এনসিপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, আপ বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, কওমী মাদরাসার শিক্ষার্থী, ইনকিলাব মঞ্চসহ গণঅভ্যুত্থনের পক্ষে থাকা বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।
সকালে কর্মসূচি থেকে জুমার নামাজের পর বড় সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত। এ লক্ষ্যে মিন্টো রোড সংলগ্ন ফোয়ারার কাছে পাঁচটি ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরির কাজ চলছে।
এদিকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ কড়া অবস্থান নিয়েছে। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ও কাকরাইল মসজিদের দিকের সড়কে ব্যারিকেড বসিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা এলাকায় টহল ও নজরদারি জোরদার করেছেন।