
আগামী ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণন সৃষ্টি হতে পারে, যা পর্যায়ক্রমে ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (বিডব্লিউওটি)।
আজ (১০ মে) এক তথ্যে সংস্থাটি জানায়, দেশের ওপর দিয়ে বর্তমানে শক্তিশালী তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। খুলনা, রাজশাহী, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগে এর তীব্রতা সবচেয়ে বেশি। ধারণা করা হচ্ছে, ১৩ মে থেকে তাপপ্রবাহের শক্তি কমতে শুরু করবে এবং ১৫ মে’র মধ্যে তা পুরোপুরি স্তিমিত হয়ে যাবে। তবে খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল ও রংপুর বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ ১৫ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে।
সংস্থাটির পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ থেকে ১২ মে’র মধ্যে তাপমাত্রা বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এর পরপরই ১৩ মে থেকে দেশে একটি ক্রান্তীয় বৃষ্টিবলয় সক্রিয় হতে পারে, যা ১৫ মে থেকে আরও শক্তিশালী রূপ নিতে পারে। এই বৃষ্টিবলয়টি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকবে সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগে এবং তুলনামূলকভাবে কম সক্রিয় থাকবে খুলনা, রাজশাহী ও চট্টগ্রাম বিভাগে।
বিডব্লিউওটি জানায়, এই বৃষ্টিবলয়টি ২০ মে পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে, যার মধ্যে ১৫ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত থাকবে সবচেয়ে বেশি সক্রিয়তা। তবে এর পর আবারও একটি তীব্র তাপপ্রবাহের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, সংস্থাটি সতর্ক করে জানায়, মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য প্রয়োজনীয় সব অনুকূল পরিবেশ বিরাজ করতে পারে। ফলে ওই সময়কালে সাগরে লঘুচাপ, সুস্পষ্ট লঘুচাপ, নিম্নচাপ হয়ে ধীরে ধীরে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে একটি শক্তিশালী সিস্টেম।
বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নৌযান ও জেলেদের জন্য এই সময় গভীর সাগরে বিচরণে সতর্কতা অবলম্বন করতে এবং আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত আপডেট অনুসরণ করার পরামর্শ দিয়েছে বিডব্লিউওটি।