
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশে প্রায় ৫২ মিলিয়ন মানুষ বন্যার ঝুঁকির মধ্যে পড়বে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। বিশ্ব ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, বন্যা ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দশম।
গতকাল (১০ মে) রাজধানীর ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে জালালাবাদ অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘ফ্লাড হ্যাজার্ড ইন সিলেট রিজিওন: প্রবলেমস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “বন্যা পরিস্থিতির মোকাবেলায় আমাদের প্রস্তুতি বাড়াতে হবে। শুধু মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হলেই চলবে না, নিজস্ব প্রতিষ্ঠানগুলোকেও দায়িত্বশীল করে গড়ে তুলতে হবে।”
তিনি জানান, জলবায়ু পূর্বাভাস সঠিকভাবে পেতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের জলবায়ুবিষয়ক সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। সেখানে উচ্চ রেজুলেশনের ডেটার ভিত্তিতে সাইট স্পেসিফিক বন্যা পূর্বাভাস পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে। এতে করে বন্যা প্রস্তুতিতে বড় অগ্রগতি আসবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেমিনারে তিনি সিলেট অঞ্চলের পাথর উত্তোলন বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “পাথর খেকোদের দৌরাত্ম্য কমছে না। স্থানীয়রা দেখেও চুপ থাকে। আমি অনেক বছর আইনি লড়াই করেছি। চার বছর পাথর উত্তোলন বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু এখন ব্যাপক লুটপাট চলছে। যদিও এখন এ মন্ত্রণালয় আমার নয়, তবুও সবার সহযোগিতা চাই।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশের বড় সমস্যা বন্যা হলেও দেশের পলি অত্যন্ত উর্বর। আমাদের অ্যাক্টিভ ডেল্টা সিস্টেমের কারণে বন্যার কিছু সুফলও রয়েছে। তবে ভূতাত্ত্বিক গঠন ও ঐতিহাসিক বাস্তবতায় বন্যাকে পুরোপুরি ঠেকানো সম্ভব নয়।”
এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক পর্যায়ে সমন্বিত উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।



