
ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে টানা উত্তেজনার পর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি)–তে কাটল সাম্প্রতিক সময়ের প্রথম শান্ত রাত। শনিবার (১১ মে) বিকেল ৫টা থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্তের ফলে রাতজুড়ে কোনো গোলাগুলি হয়নি বলে রোববার (১২ মে) সকালে নিশ্চিত করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
গত মাসে কাশ্মিরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকেই এলওসি বরাবর উত্তেজনা বাড়তে থাকে। নিয়মিত গোলাগুলির মধ্যে অবশেষে দুই দেশের সেনাপ্রধানেরা একটি যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হন, যাতে স্থল, আকাশ ও জলপথে সব ধরনের সামরিক কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে যুদ্ধবিরতির পরও ভারত গুজরাট ও শ্রীনগরে পাকিস্তানি ড্রোন শনাক্তের অভিযোগ তোলে। শনিবার রাত ১১টায় ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের অভিযোগ করেন এবং জানান, ভারত “যথাযথ জবাব” দিচ্ছে। পাকিস্তান অবশ্য অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা দাবি তোলে যে ভারতই প্রথম যুদ্ধবিরতি ভেঙেছে।
এই পারস্পরিক অভিযোগের মধ্যেও শনিবার রাতটি গোলাগুলি ছাড়াই কেটেছে, যা কাশ্মিরবাসীর জন্য একটুখানি স্বস্তির নিঃশ্বাস। এখন দেখার বিষয়, এই অস্থায়ী শান্তি ভবিষ্যতের কোনো স্থায়ী সমঝোতার ভিত্তি হয়ে উঠতে পারে কি না।