যুদ্ধবিরতির জন্য পাকিস্তান কখনও অনুরোধ করেনি—রবিবার রাতে এমনই দাবি করলেন পাক সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধরি। ভারতীয় সেনার বক্তব্য উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “লিখে রাখুন, পাকিস্তান যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করেনি।”
এর আগে ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছিল, ‘অপারেশন সিঁদুর’-এ পাকিস্তানের ৯টি জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করা হয়েছে এবং এই অভিযানে শতাধিক জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে পুলওয়ামা হামলা ও কান্দাহার বিমান অপহরণের সঙ্গে যুক্ত কয়েকজন শীর্ষ জঙ্গির নামও রয়েছে।
তবে পাকিস্তান দাবি করেছে, ভারতের হামলায় তাদের ৩১ জন সাধারণ নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে রয়েছে মহিলা, শিশু ও বৃদ্ধ। পাকিস্তানি সেনার দাবি, ভারতের সুরতগড়, সিরসা, আদমপুর, ভুজ, নালিয়া, ভাতিন্ডা, বারনালা, হালওয়ারা, অবন্তীপোরা, শ্রীনগর, জম্মু, মামুন, অম্বালা, উধমপুর ও পঠানকোটের বায়ুসেনাঘাঁটিতে তারা আঘাত হেনেছে এবং তাতে উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এমনকি ভারতের ছোড়া একটি ব্রহ্মস ক্ষেপণাস্ত্রও তারা ধ্বংস করেছে বলে দাবি করা হয়।
রবিবারের ওই সাংবাদিক সম্মেলনে পাক বায়ুসেনার ডিরেক্টর জেনারেল (পাবলিক রিলেশন) এয়ার ভাইস মার্শাল অওরঙ্গজেব আহমেদ এবং নৌসেনার ডেপুটি চিফ ভাইস অ্যাডমিরাল রাজা রব নওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।
ভারতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সংঘাতের সূচনা করেছে পাকিস্তানই, এবং ভারতের লড়াই পাকিস্তানের জনগণের সঙ্গে নয়, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে। ভারতীয় সেনা দাবি করেছে, ৭-১০ মে-র মধ্যে তাদের পাল্টা হামলায় পাকিস্তানের ৩৫-৪০ জন সেনা নিহত হয়েছে।
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দুই দেশের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা উপলক্ষে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং মার্কিন প্রশাসনের মধ্যস্থতার কথাও সংবাদমাধ্যমে উঠে এসেছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব কে প্রথম দিয়েছিল—তা নিয়ে তৈরি হয়েছে জল্পনা। ভারতের ডিজিএমও দাবি করেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল পাকিস্তানই, যা পাক সেনা অস্বীকার করেছে।



