
মাগুরার আলোচিত আট বছরের শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায়ের জন্য আগামী ১৭ মে দিন ধার্য করেছেন আদালত।মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে মাগুরা জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালত এ দিন ধার্য করেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল।
এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আসামিদের কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।
পিপি মুকুল জানান, অষ্টম দিনে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০২ ধারায় আসামিদের শনাক্ত করে তাদের বক্তব্য শোনা হয়। এরপর সোমবার মামলার প্রথম দফায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। মঙ্গলবার দ্বিতীয় দিনের যুক্তিতর্ক শেষে বিচারক ১৭ মে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন। মামলায় মোট ২৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শ্রীপুর উপজেলার ওই আট বছরের শিশু ১ মার্চ মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বড় বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসে। সেখানে ৬ মার্চ সে ধর্ষণের শিকার হয়। প্রথমে তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) মারা যায়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা ১৪ মার্চ মাগুরা সদর থানায় মামলা করেন। এতে অভিযুক্ত করা হয় মেয়ের শ্বশুর হিটু শেখ, জামাই সজীব শেখ, সজীবের ভাই রাতুল শেখ এবং তাদের মা রোকেয়া বেগমকে। পরে পুলিশ চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এতে রোকেয়া বেগমের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ, সজীব শেখ ও রাতুল শেখের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে।