
আজ থেকে ১৯ বছর আগে, ২০০৬ সালে, প্রথমবারের মতো চ্যানেল আইয়ের ‘নীলাঞ্জনা’ অনুষ্ঠানে পিতা ফেরদৌস ওয়াহিদের অতিথি হয়ে এসেছিলেন পুত্র হাবিব ওয়াহিদ। দীর্ঘ দেড় যুগ পর আবারও একসঙ্গে হাজির হলেন পিতা-পুত্র। এবার তারা অংশ নিয়েছেন চ্যানেল আইয়ের নতুন অনুষ্ঠান ‘চেনা মুখ দুখ সুখ’-এ। অনুষ্ঠানটি প্রতি বুধবার বিকাল ৫টা ৩০ মিনিটে প্রচারিত হবে।
২৫ পর্ব নিয়ে সাজানো এই অনুষ্ঠানের প্রথম সিজন পরিচালনা করছেন পুনম প্রিয়াম। উপস্থাপনায় রয়েছেন পপস্টার ফেরদৌস ওয়াহিদ নিজেই। ইতোমধ্যে ১৫টি পর্বের শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, ‘‘উপস্থাপনার অভিজ্ঞতা আগে থাকলেও এবার পূর্ণাঙ্গভাবে একটা অনুষ্ঠান উপস্থাপন করলাম। চ্যানেল আইয়ের প্রযোজক পুনম প্রিয়াম হঠাৎ প্রস্তাব দেন, আমার উপস্থাপনায় একটি অনুষ্ঠান করার। তিনি বললেন, ‘রূপান্তর’ শেষ, এবার নতুন কিছু করি। তাঁর পরিকল্পনা শুনে ভালোই লাগল। অনুষ্ঠানে সফল তারকারা অতিথি হয়ে আসবেন। প্রথম পর্বে হাবিবকে চেয়েছিলেন অতিথি হিসেবে। অনুষ্ঠানটি করতে গিয়ে বুঝেছি, কত স্বতঃস্ফূর্তভাবে করা যায়।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘২০০৪ সালে ফরিদুর রেজা সাগর ভাই আমাকে ব্রেক দিয়েছিলেন টেলিফিল্ম ‘ডেঞ্জার ম্যান’-এ নায়ক হিসেবে। এরপর ‘দূরন্ত অভিযান’ ও ‘কয়েদি’—সবগুলোতেই নায়কের চরিত্রে অভিনয় করেছি। সেই অভিজ্ঞতা কাজে লেগেছে উপস্থাপনায়। এই অনুষ্ঠানে নিজেকে ভেঙে নতুনভাবে উপস্থাপন করার সুযোগ পাচ্ছি। সংস্কৃতি অঙ্গনকে নতুন করে চিনছি, জানছি, বুঝছি। এখানে অনেক গল্প, লুকোচুরি, উঁকিঝুঁকি আছে, যা আগে জানা ছিল না।’’
অনুষ্ঠানের অতিথিদের তালিকায় রয়েছেন হায়দার হোসেন, আগুন, হোমায়েরা বশীর, অবসকিওরের টিপু, নোভার ফজল, ডিফারেন্ট টাচের মেজবাহ, মিল্টন খন্দকার, কুদ্দুস বয়াতীসহ আরও অনেকে।
পুত্র হাবিব ওয়াহিদ বলেন, ‘‘বাবার উপস্থাপনায় আগেও অতিথি হয়েছি। তবে এবার যে বিষয়টি আলাদা করে ভালো লেগেছে, সেটা হলো তাঁর উপস্থাপনার ভঙ্গি। আমার কাছে বেশ স্মার্ট ও ইউনিক লেগেছে। আমি খুব বেশি টেলিভিশন দেখি না, তবুও মনে হয়েছে, তাঁর উপস্থাপনায় নতুনত্ব আছে, যা অন্যদের মধ্যে পাই না।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘অনুষ্ঠানের বিষয়বস্তু—একজন শিল্পীর জীবনের সুখ-দুঃখ—খুবই ইন্টারেস্টিং ছিল। ছোটবেলা থেকেই বাবাকে দেখে বড় হয়েছি, তাই প্রশ্নের উত্তর দিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। বরং পরিচিত কারও সামনে নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করা আরও সহজ এবং স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ ছিল।’’