
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাকে আরও বাস্তবমুখী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে একাধিক সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এ লক্ষ্যে পেনশনের ইসলামিক সংস্করণ চালুর সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি চাঁদাদাতাদের জন্য বিভিন্ন আর্থিক ছাড় এবং নতুন সুবিধাও যুক্ত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের পরিচালনা পর্ষদের দ্বিতীয় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন পর্ষদের চেয়ারম্যান ও অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। সভা শেষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তি এবং সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রধান পরিবর্তন ও সিদ্ধান্তগুলো হল, এখন থেকে চাঁদাদাতা পেনশনযোগ্য বয়সে পৌঁছালে তাঁর জমার সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এককালীন তুলতে পারবেন। আগে এ সুযোগ ছিল না।
প্রবাস ও প্রগতি স্কিমে অংশগ্রহণকারীদের জন্য ন্যূনতম মাসিক চাঁদার হার ২ হাজার টাকা থেকে কমিয়ে ১ হাজার টাকা করা হয়েছে। এতে বিশেষ করে স্বল্প আয়ের প্রবাসীরা উপকৃত হবেন। প্রগতি স্কিমে উচ্চ আয়ের অংশগ্রহণকারীদের জন্য মাসিক সর্বোচ্চ চাঁদার সীমা ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। প্রগতি স্কিমের আওতায় এবার আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নিযুক্ত সেবাকর্মীরাও অংশ নিতে পারবেন, যা অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের কর্মীদের জন্য একটি বড় সুযোগ।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ইন্টারন্যাশনাল সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশনের (ISSA) সদস্যপদ অর্জনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পর্ষদ কর্তৃপক্ষকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইসলামিক মূল্যবোধ অনুযায়ী সর্বজনীন পেনশনের একটি বিকল্প সংস্করণ চালুর সম্ভাব্যতা যাচাই করে তা পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে আরও জনপ্রিয় করতে ফেসবুক, ইউটিউব, টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ও টকশো, আন্তর্জাতিক খেলাধুলার সম্প্রচারের সময় এবং জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে জোরালো প্রচারণা চালানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।