মাগুরায় আলোচিত শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার রায় আজ (শনিবার) ঘোষণার কথা রয়েছে। মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসান এই রায় দেবেন। মাত্র দুই মাস ১১ দিনের মধ্যে তদন্ত ও বিচারিক কার্যক্রম শেষে রায় ঘোষণা হতে যাচ্ছে।
গত ১৩ মে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয় ৭ মে। ওইদিন ঢাকার চিকিৎসকদের দুজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। শিশু আছিয়া মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার জারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। ৬ মার্চ মাগুরা শহরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় সে। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে ১৩ মার্চ মারা যায়।
এ ঘটনায় ৮ মার্চ আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার মাগুরা সদর থানায় চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তারা হলেন—শিশুটির বোনের শ্বশুর হিটু শেখ, শাশুড়ি জাহেদা বেগম, বোন জামাই সজিব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখ। বর্তমানে চারজন আসামিই পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
১৩ এপ্রিল মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাগুরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলাউদ্দিন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ২৩ এপ্রিল চার্জ গঠন শেষে ২৭ এপ্রিল থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়।
মামলার প্রধান অভিযুক্ত হিটু শেখ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও বিচার চলাকালে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে শিশুটির বোন হামিদাকে জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানান।
এই ঘটনায় মাগুরাসহ সারাদেশে ছাত্রছাত্রী ও সাধারণ মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তারা দ্রুততম সময়ে অপরাধীর বিচার দাবি করেন। স্থানীয় আইনজীবীরাও আসামিপক্ষকে কোনো আইনগত সহায়তা না দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সরকার এ মামলাকে গুরুত্ব দিয়ে এটর্নি জেনারেল পদমর্যাদার স্পেশাল প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এহসানুল হক সমাজীকে দায়িত্ব দেয়। অপরদিকে আসামিপক্ষকে লিগ্যাল এইডের মাধ্যমে আইনজীবী সোহেল আহমেদ সহায়তা দেন।



