
নতুন সিদ্ধান্তে ভারতের কাশ্মিরে নিরাপত্তা জোরদার করতে এবার সাবেক সেনাদের নিয়োজিত করা হচ্ছে। টানা কয়েকদিনের হামলা, পাল্টা হামলা ও উত্তেজনার পর সম্প্রতি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। এর ফলে উভয় দেশ নিয়মিত একে-অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছেন এবং যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে।
এমতাবস্থায়, শনিবার (১৭ মে) এক প্রতিবেদনে এএফপি জানায়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার কাশ্মিরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার জন্য প্রায় ৪ হাজার সাবেক সেনা সদস্যকে মাঠে নামাচ্ছে। এর মধ্যে ৪৩৫ জনের কাছে লাইসেন্সধারী ব্যক্তিগত অস্ত্র রয়েছে। সরকার বলছে, এই উদ্যোগের মাধ্যমে দ্রুত ও কার্যকরভাবে স্থানীয় নিরাপত্তা পরিস্থিতির মোকাবিলা সম্ভব হবে। সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সাবেক সেনারা মূলত “স্ট্যাটিক গার্ড” হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন, যা প্রতিরোধমূলক ভূমিকা রাখবে এবং নিরাপত্তা সমন্বয় আরও বাড়াবে।
প্রসঙ্গত, ভারতশাসিত কাশ্মিরে ইতোমধ্যে প্রায় ৫ লাখ সেনা মোতায়েন রয়েছে। এই অঞ্চলটি দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের কেন্দ্রে রয়েছে। ১৯৮৯ সাল থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো স্বাধীনতা বা পাকিস্তানের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার দাবিতে সশস্ত্র আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ২০১৯ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার কাশ্মিরের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা বাতিল করে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ জারি করলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। তবে, গত বছর দক্ষিণ কাশ্মিরে কয়েকটি প্রাণঘাতী হামলার পর হাজার হাজার অতিরিক্ত সেনা ও স্পেশাল ফোর্স মোতায়েন করা হয়। এই সময়ের মধ্যে, সংঘর্ষে অন্তত ৫০ সেনা নিহত হয়। করোনা মহামারির সময়ে সরকার ২৫০০ সাবেক সেনা স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ করেছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো এবং সামরিক পদক্ষেপের এই উদ্যোগ কাশ্মিরের নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি প্রত্যাশা করছে।