
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই যুদ্ধবিরতি ও শান্তিচুক্তির উদ্দেশ্যে আলোচনায় বসতে যাচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দুই ঘণ্টার ফোনালাপের পর তিনি এই তথ্য জানান। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ট্রাম্প বলেন, পুতিনের সঙ্গে তার আলোচনা “খুবই ইতিবাচক” ছিল এবং দুই দেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমেই শান্তির শর্ত নির্ধারিত হবে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো চূড়ান্ত যুদ্ধবিরতি বা শান্তিচুক্তি নিয়ে স্পষ্ট অগ্রগতি হয়নি।
পুতিন জানিয়েছেন, রাশিয়া আলোচনায় প্রস্তুত এবং একটি খসড়া সমঝোতার প্রস্তাব তৈরি করতে চায়, যেখানে নির্দিষ্ট সময়সীমা ও যুদ্ধবিরতির নিয়মাবলি থাকবে। তবে এখনো নির্দিষ্ট সময়সীমা ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন তার উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এই উদ্যোগকে “গুরুত্বপূর্ণ মোড়” আখ্যা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সক্রিয় উপস্থিতি দাবি করেছেন। তিনি আবারও জোর দিয়ে বলেন, যুদ্ধবিরতি হতে হবে “পূর্ণ ও নিঃশর্ত”।
ট্রাম্প জানান, ইউক্রেন ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ফ্রান্স, জার্মানি, ফিনল্যান্ড এবং ইতালির নেতাদের সঙ্গেও আলোচনা হয়েছে। ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানান, পোপের প্রস্তাব অনুযায়ী ভ্যাটিকানকে আলোচনার ভেন্যু হিসেবে গ্রহণের বিষয়ে নেতারা ইতিবাচক।
তবে ইউক্রেন সতর্ক করে বলেছে, তাদের বাদ দিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে তার ফল শুভ হবে না। অতীতে রাশিয়ার একাধিক যুদ্ধবিরতির পর তা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে কিয়েভ বলেছে, “একটি ধারাবাহিক ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন”।