২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরাইল যে যুদ্ধ শুরু করে, তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় ব্যাপকভাবে অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়। হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়, যার বেশিরভাগই ছিল ইসরাইলের বেসামরিক নাগরিক। হামলার পর ইসরাইলের প্রতিক্রিয়ার প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন ছিল, তবে বর্তমানে ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য ও কানাডার মতো দেশগুলো ইসরাইলের গাজার সামরিক অভিযানকে তীব্র নিন্দা করছে।
এই তিনটি দেশের সরকার জানিয়েছে যে, গাজার পরিস্থিতি অসহনীয় হয়ে পড়েছে এবং ইসরাইলকে আক্রমণ বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। নেতানিয়াহু দাবি করেছেন, হামাসকে ধ্বংস ও জিম্মিদের উদ্ধার করতে এই অভিযান জরুরি। তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কণ্ঠস্বর এই যুক্তিকে খারিজ করেছে এবং যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়েছে।
সর্বশেষ, নেতানিয়াহু গাজার মধ্যে খাদ্য প্রবাহের অনুমতি দেওয়ার কথা বললেও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মতে, এটি ‘সম্পূর্ণ অপর্যাপ্ত’। তিনি পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, এই দেশগুলো হামলার জন্য ইসরাইলকে দোষারোপ করছে এবং হামাসের ধরা জিম্মিদের মুক্তির জন্য নির্দিষ্ট শর্তাবলী উল্লেখ করেছেন।
গাজার মানবিক সংকট নিয়ে আন্তর্জাতিক চাপ বেড়ে গেছে, এবং ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এই পরিস্থিতিকে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সহ ইউরোপীয় মিত্ররা ইসরাইলের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছে, যা সাম্প্রতিক সময়ে তাদের কঠোরতম সমালোচনা বলে মনে করা হচ্ছে।



