আজ, শুক্রবার (২৩ মে) বিশ্ব ফিস্টুলা দিবস। এই আন্তর্জাতিক দিবসটি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন কার্যক্রমের মাধ্যমে পালিত হচ্ছে। ফিস্টুলা, বিশেষ করে এশিয়া ও আফ্রিকার ৫০টি দেশের নারীদের জন্য একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশে ফিস্টুলায় আক্রান্ত নারীর সংখ্যা ২০০৩ সালে প্রায় ৭১ হাজার ছিল, এবং প্রতিবছর নতুন দুই হাজার নারী এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।
ফিস্টুলা মূলত বাধাগ্রস্ত প্রসবের কারণে হয়, যার ফলে নারীদের প্রস্রাব বা পায়খানা ঝরতে থাকে। আক্রান্ত নারীরা পরিবার ও সমাজে প্রত্যাখ্যাত হয়ে পড়েন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে প্রতিদিন গড়ে ১৪ জন নারী প্রসবজনিত কারণে মারা যান, যার মধ্যে ৮% বাধাগ্রস্ত প্রসবের কারণে মৃত্যু হয়।
আইএসওএফএস-এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বাংলাদেশে ফিস্টুলায় আক্রান্ত নারীর সংখ্যা ১৭ হাজার ৪৫৭ হতে পারে, যার মধ্যে ৮২% নারীর চিকিৎসার সুযোগ নেই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ১১টি সরকারি মেডিকেল কলেজে বিনামূল্যে ফিস্টুলা চিকিৎসা প্রদান করা হয়।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের ২০২২ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৮৯.৪% প্রসূতি ১৩ থেকে ১৯ বছর বয়সে প্রথম প্রসব করেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ৭১৯ জন ফিস্টুলা রোগীর মধ্যে ৭০% হাসপাতালে ১৮ দিন চিকিৎসার পর পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠেছেন। দেশে ফিস্টুলায় আক্রান্ত নারীর হার ৫৭% এবং জরায়ু অপসারণের কারণে ৫৬% নারী ফিস্টুলায় আক্রান্ত হন।
দিবসটি উপলক্ষে সকলের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, যেন এই নীরব মহামারীতে আক্রান্ত নারীদের পাশে দাঁড়ানো হয় এবং তাদের সুস্থ জীবনের পথে ফিরিয়ে আনার জন্য সহানুভূতি ও সমর্থন প্রদান করা হয়।



