রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি সামনের দিনগুলোতে আরও বাড়বে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। গতকাল টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অস্ত্রবাজারে রাশিয়ার অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে সরকার এই পরিকল্পনা নিয়েছে।
পুতিন জানান, ইতোমধ্যে রাশিয়ার কাছে বিপুল অর্ডার জমা পড়েছে, যার আর্থিক মূল্য কয়েক হাজার কোটি ডলার। তিনি বলেন, “যেহেতু আমরা অর্ডার নিয়েছি, তাই সেগুলো পূরণ করতে হবে। ফলে অস্ত্রের উৎপাদন ও রপ্তানি বাড়ানো হবে।”
২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর থেকে রাশিয়া ব্যাপকভাবে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও গোলাবারুদের উৎপাদন বাড়িয়েছে। তবে এসব অস্ত্রের বড় অংশই ইউক্রেন যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত হওয়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হ্রাস পায়। সুইডেনভিত্তিক থিংকট্যাঙ্ক সিপরি’র তথ্যমতে, ২০২০-২৪ মেয়াদে রাশিয়ার অস্ত্র রপ্তানি ৭.৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অথচ ২০১৫-১৯ সময়কালে এই হার বেড়েছিল ১৪ শতাংশের বেশি।
বিশ্বের বহু দেশ রাশিয়ার কাছ থেকে অস্ত্র কিনলেও সবচেয়ে বড় তিনটি ক্রেতা হচ্ছে চীন, ভারত ও মিসর। পুতিন আরও জানিয়েছেন, ভবিষ্যতের বাজারে প্রযুক্তিনির্ভর ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-ভিত্তিক অস্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং এই খাতেও রাশিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে প্রস্তুত।



