অবশেষে সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে পাকিস্তানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। যদিও পুরো দল এখনও সেখানে পৌঁছায়নি, ৪ জন ক্রিকেটারসহ ১০ জনের একটি বহর লাহোরে পা রেখেছে। এই দলে রয়েছেন হাসান মাহমুদ, তানভীর ইসলাম, পারভেজ হোসেন ইমন ও তানজিম হাসান সাকিব। তাদের সাথে ছিলেন ম্যানেজার নাফিস ইকবালসহ আরও কয়েকজন সাপোর্ট স্টাফ। বাকিদের পাকিস্তানে পৌঁছাতে হবে আগামীকাল (২৬ মে)।
বিসিবি পাকিস্তান সফর নিয়ে কাউকে জোর করেনি, যার ফলে পেসার নাহিদ রানা, স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ নাথান কেলি ও ফিল্ডিং কোচ জেমস প্যামেন্ট সফরে যাচ্ছেন না। পাকিস্তানে পাঁচটি টি-টোয়েন্টি হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তিনটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
এর আগে ২৫ মে থেকে পাঁচ ম্যাচের সিরিজ হওয়ার পরিকল্পনা ছিল, তবে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের কারণে পিএসএল পিছিয়ে যাওয়ায় সিরিজটিও পরিবর্তিত হয়। বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের আপত্তির পর দুই বোর্ডের আলোচনায় তিন ম্যাচের সিরিজ আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের ঘোষিত সূচি অনুযায়ী, সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি হবে ২৮ মে। একদিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ ৩০ মে এবং তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ হবে ১ জুন, যথারীতি একদিন বিরতি দিয়ে।
পাকিস্তান ইতোমধ্যে সিরিজের জন্য দল ঘোষণা করেছে। শাহীন, বাবর ও রিজওয়ান না থাকলেও এই সিরিজে সালমান আলী আঘার নেতৃত্বে খেলবেন শাদাব খান, আবরার আহমেদ, ফাহিম আশরাফ, ফখর জামান, হারিস রউফ, হাসান আলী, হাসান নওয়াজ, হুসাইন তালাত, খুশদিল শাহ, মুহাম্মদ ইরফান খান, মোহাম্মদ হারিস, মোহাম্মদ ওয়াসিম জুনিয়র, নাসিম শাহ, শাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব।
অন্যদিকে, লিটন দাসের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দলে রয়েছেন সহ অধিনায়ক শেখ মেহেদী হাসান, তানজিদ হাসান তামিম, পারভেজ হোসেন ইমন, সৌম্য সরকার, নাজমুল হোসেন শান্ত, শামীম হোসেন পাটোয়ারি, জাকের আলী অনিক, রিশাদ হোসেন, তানভির ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদ, তানজিম হাসান সাকিব ও শরিফুল ইসলাম।
আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারের পর টাইগাররা মানসিকভাবে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছে। পাকিস্তানে গিয়ে তারা নিজেদের সুনাম ও আত্মবিশ্বাস পুনরুদ্ধারে চেষ্টা করবে।



