আজ, ২৫ মে (রোববার) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী । ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ) বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম ছিল ‘দুখু মিয়া’। পিতা কাজী ফকির আহমেদ এবং মাতা জাহেদা খাতুন।
কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন চির প্রেমের কবি এবং যৌবনের দূত। তিনি প্রেম নিয়েছেন, প্রেম চেয়েছেন। মূলত তিনি বিদ্রোহী কবি, তবে তার প্রেমিক রূপটিও অমর। এক্ষেত্রে তিনি লিখেছেন, “আমার আপনার চেয়ে আপন যে জন খুঁজি তারে আমি আপনায়।” পৃথিবীতে এমন কয়জন আছেন যিনি প্রেমের টানে রক্তের সম্পর্ককে অগ্রাহ্য করে পথচলায় বেরিয়ে পড়তে পারেন?
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা। তিনি বৈচিত্র্যময় অসংখ্য রাগ-রাগিনী সৃষ্টি করে বাংলা সঙ্গীত জগতকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার কবিতা, গান ও সাহিত্য কর্ম বাংলা সাহিত্যে নবজাগরণ সৃষ্টি করেছে। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনার পথিকৃৎ লেখক, যার লেখনি জাতীয় জীবনে অসাম্প্রদায়িক চেতনা বিকাশে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে।
তার কবিতা ও গান মানুষের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে মুক্তির পথ দেখিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার বসবাসের ব্যবস্থা করেন। ধানমন্ডিতে কবির জন্য একটি বাড়ি প্রদান করেন।
আজকের এই দিনটিতে কাজী নজরুল ইসলামের অবদানকে স্মরণ করে আমরা তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করি।



