বাংলাদেশের ঋতুর পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের মন, মর্জি ও রুচি বদলানোর বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। অভিনেত্রী আজমেরি হক বাঁধনের অভিজ্ঞতা এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ হিসেবে উঠে এসেছে। তিনি সম্প্রতি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন, কীভাবে তিনি একাধিক দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছেন।
২০২১ সালে বলিউডের সিনেমা ‘খুফিয়া’তে অভিনয়ের সময় বাঁধন ছিলেন একজন ‘র’ এজেন্ট। কিন্তু সিনেমার প্রেমিয়ারে অংশগ্রহণের সময় তাকে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে বারবার ভিসা প্রত্যাখান করা হয়। তাদের উদ্বেগের কারণ ছিল, ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের সঙ্গে তার একটি ছবি। এ কারণে তিনি এক মাসের সিঙ্গেল এন্ট্রি ভিসা পেলেও, অনেক সুযোগ হারিয়েছেন বলিউড ও কলকাতায়।
জুলাই মাসের গণভ্যুত্থানের প্রসঙ্গে বাঁধন জানান, তাকে সিআইএ এজেন্ট ও জামায়াত কর্মী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এমনকি তাকে মোসাদের সদস্য বলেও দোষারোপ করা হয়। তার এক বন্ধু, যিনি বর্তমান সরকারের সদস্য, অভিযোগ করেন, তিনি কিছু টাকার বিনিময়ে এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন।
বাঁধন হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “আমরা কী ধরনের সমাজে বাস করছি, যেখানে দেশের প্রতি ভালোবাসা নেই।” তার অভিজ্ঞতা প্রমাণ করে, কিভাবে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিস্থিতি একজন শিল্পীর জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে।



