ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অনাহারে চার বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে, যার নাম মোহাম্মদ ইয়াসিন। গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ইসরায়েলের অবরোধ শুরুর পর থেকে এই ধরনের মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে ৫৮-তে পৌঁছেছে।
রোববার (২৫ মে) আল জাজিরাকে দেওয়া এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, অবরোধের কারণে খাদ্য, পানি ও মানবিক সহায়তা গাজার বাসিন্দাদের কাছে পৌঁছাতে না পারায় ইয়াসিনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, “এটি গাজায় ক্ষুধায় প্রথম শিশুর মৃত্যু নয়। খাদ্য ও পানি প্রবেশ করতে না পারলে, সামনে আরও অনেক শিশুর মৃত্যু ঘটবে।” আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
গাজার চিকিৎসক ইজজেদিন শাহিন সতর্ক করেছেন যে, দুর্ভিক্ষ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, আগে সুস্থ থাকা শিশুরাও মৃত্যুর শিকার হচ্ছে অপুষ্টির কারণে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, মোহাম্মদ ইয়াসিনের মৃত্যু ৫৮তম ঘটনা, অর্থাৎ অবরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় ক্ষুধার কারণে আরও ৫৭ জন ফিলিস্তিনি মারা গেছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় ৭০ হাজারের বেশি শিশু তীব্র অপুষ্টিতে ভুগছে।
এদিকে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজার খান ইউনিসে নারীদের চিকিৎসকের ৯ সন্তান নিহত হওয়ার ঘটনায় তদন্ত করছে। ওই হামলায় চিকিৎসক আলা আল-নাজ্জারের ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড়টির বয়স ১২ বছর এবং ছোটটার বয়স মাত্র কয়েক মাস।
জাতিসংঘ ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা আগে থেকেই গাজার মানবিক বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করেছে, এবং বিশেষ করে উত্তর গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সরবরাহ প্রায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে।



