পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গবাদি পশু ক্রয়-বিক্রয়, চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন, জাল নোটের ব্যবহার রোধ এবং পশুর হাটের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১০ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
২৬ মে, সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সম্মেলন কক্ষে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) মো. হুমায়ুন কবির। তিনি জানান, কোরবানির পশুর হাটে চাঁদাবাজি ও মারামারি বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গুজব বা কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি রোধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হবে।
সভায় উল্লেখ করা হয়, পশু বহনকারী গাড়িতে চাঁদাবাজি ও ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরি করা হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে স্থায়ী ও অস্থায়ী পশু বাজারের ইজাদার ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা প্রদান, চসিক অনুমোদিত পশুর হাটে জালনোট শনাক্তকরণ মেশিন স্থাপন এবং সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে।
পশুর হাটে গাড়ি পার্কিংয়ের ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা, কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি রোধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও সিটিজেনস্ ফোরামের সাথে সমন্বয় করা হবে। পাশাপাশি, কোনো সিন্ডিকেট তৈরি হয়ে চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে।
সভায় সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) মুহাম্মদ ফয়সাল আহমদ, জেলা প্রশাসন, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, র্যাব-৭, ডিজিএফআই, এনএসআই, সিভিল সার্জন, ফায়ার সার্ভিস, ওয়াসা, বাংলাদেশ ব্যাংক, জেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।



