
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, যা আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর প্রভাবে সারা দেশে টানা ঝড়-বৃষ্টি শুরু হতে পারে। আগামী পাঁচদিন বিভিন্ন এলাকায় বজ্রসহ বৃষ্টি, দমকা হাওয়া এবং কোথাও কোথাও ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সকালে প্রকাশিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের পূর্বাঞ্চল পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থার কারণে আবহাওয়া আরও বৈরী হতে পারে।
এদিন রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু স্থানে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণও হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বেড়ে যেতে পারে, তবে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
আগামীকাল বুধবার (২৮ মে) থেকে সপ্তাহ শেষ হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বজ্রসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। বিশেষ করে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা বেশি। ২৯ মে দক্ষিণাঞ্চলে দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত কমে যেতে পারে, রাতের তাপমাত্রাও সামান্য হ্রাস পেতে পারে।
আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, বর্তমানে লঘুচাপটি উপকূলীয় অঞ্চলে অবস্থিত, তবে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। তাই উপকূলীয় অঞ্চলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানানো হয়েছে। আবহাওয়ার এই বৈরী পরিস্থিতির কারণে কৃষি, পরিবহন এবং জনজীবনে প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।